‘মুশফিক-সাকিব-রিয়াদের ধীরগতির ব্যাটিংই পরাজয়ের অন্যতম কারণ’
নিউজ ডেস্ক:
|
স্কটল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই পরাজয় নিয়ে আজ দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুশফিক-সাকিব-রিয়াদের ধীরগতির ব্যাটিংই পরাজয়ের অন্যতম কারণ। তিনে নেমে সাকিব ২৮ বলে ২০, চারে মুশফিক ৩৬ বলে ৩৮ এবং পাঁচে মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৩ রান করেন। এই ধীরগতির ব্যাটিং আর রণকৌশলকেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন পাপন। সাংবাদিকদের পাপন বলেন, 'গতকালের ম্যাচ নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই। অনেক ম্যাচে আসলে প্রাপ্তির কিছু না কিছু থাকে, গতকালের ১ম্যাচে পুরোটাই লস। কখনো চিন্তাও করা যায় নাই যে আমরা স্কটল্যান্ডের কাছে হারতে পারি। হারা-জিতা নিয়ে আমি চিন্তিত না। ক্রিকেটে যেকোনো টিম যেকোনো সময় হারতে পারে, জিততে পারে। টি-টোয়েন্টি আরও বেশি আনপ্রেডিক্টেবল। যে বিষয়ে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি, খেলার অ্যাপ্রোচ আর অ্যাটিচুড কোনোটাই ঠিক ছিল না। কোনোভাবেই না। প্রথম ৬ ওভারে (পাওয়ার প্লে) একটা সুবিধা নিতে হয়। এটা করতে হলে মারতে হবে, উইকেট পড়তেই পারে। কিন্তু প্রথম দুই উইকেট পতনের পর আমাদের ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ যেভাবে খেলেছে সেখানেই তো আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি। প্রথম দুজনকে তো বাদই দিলাম।' ব্যাটিং পজিশন ধরে রাখা নিয়ে সাকিব-মুশফিককে খোঁচা মেরে পাপন বলেন, 'এটা আমাকে বলতে হবে না, কোচকে বলতে হবে না, আপনাদেরকে (সাংবাদিক) বলতে হবে না যে এভাবে খেললে ১৪ চেজ করা সম্ভব না। এটা সবাই জানে। যেটা বললাম, ওই সময়ে ব্যাটসম্যানদের মাঝে ওই অ্যাপ্রোচটা ছিল না। এটাই অন্যতম প্রধান কারণ (পরাজয়ের)। এছাড়া কৌশলেও ভুল ছিল। যখন তিন ওভারে দুই উইকেট পড়ে গেছে, তখন ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। কাউকে তিনে খেলাতেই হবে, কাউকে চারে খেলাতেই হবে- এটা তো ম্যাচের কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে। তাই এটিও আরেকটি কারণ। …. ওরা কী ভেবেছিল জানি না। ওদের মাথায় কী চলছিল জানি না। তবে আমার বিশ্বাস, আমাদের ক্রিকেটাররা আরও বড় দলের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারে।' সভায় কী কথা হলো- এমন প্রশ্নে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'আমি ক্রিকেটারদের সবার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কোচকে পেয়েছি আর রিয়াদ-সাকিবকে পেয়েছি। তাদেরকে এটাই বলেছি, কারও কোনো স্পেসিফিক এই পজিশনে আমাকে খেলতেই হবে- এমন চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যে কোনো ম্যাচ পরিস্থিতিতে একজনের ব্যাটিং অর্ডার বদলাতেই পারে। এটা হলো প্রথম এবং বেসিক কথা। আরেকটি বলেছি, ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ১৪০ রান করা আমার কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। সাকিব-মেহেদি ভালো বল করেছে। তবে দলের বোলিং ভালো হয়নি। এখানে কে কত রান করল সেটা বিষয় না, কত বলে কত রান করল সেটাই বিষয়।' |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |