২০২৩ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
হারুন সওদাগর
|
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তালিকাটি প্রকাশ করেছে। আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২২ দিন ছুটি থাকবে। তালিকা অনুযায়ী, এবার ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ৮ দিন ছুটি থাকবে। এই ২২ দিন ছুটির মধ্যে ৮ দিন পড়েছে শুক্রবার ও শনিবার। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিম্নবর্ণিত ছুটি পালন করা হবে। সাধারণ ছুটি- ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২১ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, পহেলা মে মে দিবস, ৪ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), ২৯ জুন ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)। নির্বাহী আদেশে ছুটি- ৮ মার্চ শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১৯ এপ্রিল শবে কদর, ২১ এবং ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দুই দিন, ২৮ এবং ৩০ জুন ঈদুল আজহার আগে ও পরের ২ দিন এবং ২৯ জুলাই আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। ঐচ্ছিক ছুটি- ঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বের মধ্যে রয়েছে- ১৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ২৪ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১ জুলাই ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ১৩ সেপ্টেম্বর সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৭ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৮ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রী ব্রত, ৭ মার্চ দোলযাত্রা, ১৯ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১৪ অক্টোবর মহালয়া, ২২ ও ২৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (অষ্টমী ও নবমী), ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ১২ নভেম্বর শ্যামাপূজা। এছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ২২ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ৬ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ৮ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৯ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ঐচ্ছিক ছুটির বৌদ্ধ পর্বের মধ্যে রয়েছে- ৫ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ১ আগস্ট আষাঢ়ি পূর্ণিমা, ২৮ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব। ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। এতে বলা হয়, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারি-বেসরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি প্রসঙ্গে বলেন, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। শীত চলে আসায় আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি হবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বর্তমানে অফিস টাইম হলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এর আগে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়। যা এখনও চলমান রয়েছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |