বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোহামেডানকে হারাল আবাহনী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৫৭ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

আবাহনী-মোহামেডানের মর্যাদার লড়াই নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। ডিপিএলে এখন পর্যন্ত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে খেলেছেন ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস। হাফিজের সঙ্গে রুবেলের ৫১ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪২। তাতে মোহামেডানের রান ২৫৫। আড়াইশ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হনুমা বিহারি এবং জাকের আলী অনিকের হাফ সেঞ্চুরি ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের আবাহনী।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতেই আউট হন নাইম শেখ। ১০ বলে ০ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। এরপর বিহারিকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুনিম শাহরিয়ার। তবে দলীয় ৪০ রান হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুনিম।

 
২৫ বলে ডানহাতি এই ওপেনারকে ফেরান মুশফিক আহসান। এরপর বিহারির সঙ্গে জুটি গড়েন জাকের আলী। দুজনে মিলে দলকে দেখেশুনে নিয়ে যান ১০০'র ওপর। এই দুজনের ব্যাটে এগোতে থাকলেও আবাহনীর তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ১৩৭ রানে। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো হনুমাকে বিদায় করেন মহাম্মদ হাফিজ। সঙ্গী হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন জাকের। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

দলীয় ১৫০'র পর ১৭১ রানের মাথায় শুভাগত হোমকে উইকেট বিলিয়ে দেন জাকের। তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। ৪ উইকেট হারালেও আফিফ হোসেন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক মিলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ব্যাটে ভর করে আর কোন উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় আবাহনী।


এর আগে আবাহনীর বিপক্ষে টস হেরে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতে ২৫৫ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। দলীয় ৫৯ রানে ফেরেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার (৩৪) ও আব্দুল মজিদ (১৪)। এরপর হাল ধরেন হাফিজ ও রুবেল মিয়া।

দুজনে শতাধিক রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ফিফটি। রুবেলের তুলনায় হাফিজের ব্যাটিং ছিল মন্থর। ৮৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে দেখা পান ফিফটির। অন্যদিকে রুবেল ফিফটি করেন ৬৩ বলে। হাফিজ শেষ দিকেও ধীর শুরুর ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারেননি।

১০১ বলে ৭০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। রুবেল থামেন ৫১ রানে। দুজন ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-শুভাগত হোমের মতো ক্রিকেটাররা থাকলেও বড় স্কোর এনে দিতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ ৩৭ বলে ৪২ রান করেন। শুভাগতর ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। মোহামেডান শেষ ৫ উইকেট হারায় ২৩ রানের ব্যবধানে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ