শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি চিরদিন আমাদের শত্রু ভেবেছেঃ ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২, ০২:২৫ রাত | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপি চিরদিন আমাদের শত্রু ভেবেছেঃ ওবায়দুল কাদের

ছবি । সংগৃহীত

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনাদের বুকে ব্যথা, আপনাদের গা জ্বলে। একুশে আগস্ট মারতে পারেননি তাই আপনাদের যন্ত্রণা। সেই চক্রান্ত এখনও চলছে। এই দলটি চিরদিন আমাদের শত্রু ভেবেছে। এত উদারতা দেখানোর পর শেখ হাসিনাকে শত্রু হিসেবে এরা বেছে নিয়েছে। 

রবিবার (২১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পল্টনে আর প্রেস ক্লাবে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেশ করে তলানিতে নিয়েছেন আমাদের জনপ্রিয়তা। আমি বলবো, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সত্য বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব আজ এটা স্বীকার করে।’

তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয় প্রমাণ হয়ে যাবে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে কেন বলেন? প্রমাণ করতে হবে নির্বাচন দিয়ে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ খুশি।’

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘নেত্রী, আপনি অনেককে সেদিন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার যারা মাস্টারমাইন্ড, একুশের আগস্টেরও মাস্টারমাইন্ড তারা। হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান তার স্বীকারোক্তিতে বলেছে, হাওয়া ভবনের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে আমরা অপারেশন শুরু করেছিলাম। এ সত্য কি অস্বীকার করতে পারবেন?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরের সংশ্লিষ্টতা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা‌। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে কে বলেছিল, ওয়েলডান মেজর ডালিম, ইউ হ্যাভ ডান এ গ্রেট জব। আজ সত্যকে অস্বীকার করবেন না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে অনেকেই কথা বলেন, আমাদের বন্ধু দেশগুলোও কথা বলেন। কেন বাংলাদেশে এই আবিষ্টতা?

অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্কের এই দেয়াল একুশে আগস্টে এসে আরও উঁচুতে গেছে। এর সৃষ্টি করেছে বিএনপি। তারপরও শেখ হাসিনা তাদের গণভবনে ডাকেন, সংলাপ করেন। টেলিফোনে কথা বলে অপমানিত হন। ছেলে মারা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন শোকাহত মাকে সান্ত্বনা দিতে। ঘরের দরজা বন্ধ, বাইরের গেট প্রধানমন্ত্রীর মুখের উপর বন্ধ করে দেওয়া হলো। সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে আপনারাই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্পর্কের দেয়ালকে আরও উঁচুতে তুলেছেন। 

তিনি বলেন, ‘এখানে ১৪ দলের নেতারা আছেন। এগুলো বলার দায়িত্ব শুধু আমাদের নয়, আপনাদের সকলের। একজন মানুষের কয়টা জন্মদিবস হয়? আগে কেক কেটে ভুয়া জন্মদিবস পালন করতো। আমরা ভেবেছিলাম এবার করবে না। ঠিকই ১৬ আগস্ট, আগের দিন কেক কাটেনি। ১৬ তারিখে বেগম জিয়ার জন্মদিনের দোয়া মাহফিল, কেক কেটেছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে বলি, যেই দলের নেতার এত জন্মদিবস, তাকে কি বিশ্বাস করেন? তাদের বিশ্বাস করা যায়? তাদের ওপর আস্থা রাখা যায়?

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ