‘সমাবেশের নামে চাঁদাবাজি করে তারেকের কাছে পাঠাচ্ছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
সমাবেশের নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে এ চাঁদার একটি অংশ লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। বিএনপি হচ্ছে পেট্রোল বোমা বাহিনী। আজ আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি নির্বিঘ্নে সমাবেশ করছে। কিন্ত তারা সমাবেশের নামে চাঁদার প্রকল্প নিয়েছে। তিনি বলেন, সমাবেশের নামে চাঁদাবাজি করে যে টাকা তোলা হচ্ছে তার অর্ধেক লন্ডনে তারেক জিয়ার কাছে পাঠানো হচ্ছে। বিএনপি আগে সহিংসতা চালিয়েছে। তাই তারা কোনো সমাবেশ ডাকলে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে, তল্লাশি করতে হচ্ছে। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে ব্যবসীরা অভিযোগ তুলেছেন, বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখবেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে। বিএনপি এখন যে সমাবেশ করছে সেখানে কোথাও কি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে? কোথাও ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের অফিসের দুই পাশে কাঁটা তারের বেড়া থাকতো। সে কাঁটা তারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে কেউ যেতে পারতো না। এখন কি সে ধরনের ঘটনা আছে? তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি হচ্ছে পেট্রোল বোমা বাহিনী, বিএনপি হচ্ছে যারা মানুষের সম্পত্তিতে আগুণ দেয়, গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। সুতরাং চট্টগ্রামের সমাবেশেও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়েছিল। এজন্য পুলিশ সন্ত্রাসী কার্যক্রম এড়াতে রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী তল্লাশি করেছে। তাদের সমাবেশ তো নির্বিঘ্নে সব জায়গায় হচ্ছে। তারা যে সমাবেশ করছে তার নামে সারা দেশে চাঁদাবাজি করছে। চট্টগ্রামে সমাবেশের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিয়েছে। ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার জন্য তারা একটা বিরাট চাঁদাবাজির প্রকল্প নিয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সমাবেশের জন্য যে চাঁদা উঠেছিলে তার একটা অংশ লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের নামে বিএনপির একটি বড় চাঁদাবাজি প্রকল্প হচ্ছে এটি। আমি শুনেছি চট্টগ্রামের সমাবেশের জন্য যে চাঁদা উঠেছিল তার অর্ধেক টাকা তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর বিএনপি যখন সমাবেশ নিয়ে বাধার কথা বলে, আমি তাদেরকে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে বলব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২১ আগস্টের সমাবেশে হামলা বিএনপি করেছিল। আহসানউল্লাহ মাস্টার, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, কিবরিয়ার, নারায়ণগঞ্জের সমাবেশসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের সমাবেশের হামলা বিএনপি করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রশাসন বিএনপি যাতে সমাবেশ সুন্দরভাবে সঠিকভাবে করতে পারে সে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু সমাবেশের নামে তারা অতিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জন জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে। সেজন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হয়। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেটির স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে তল্লাশি করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের প্রস্তাবের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে প্রস্তাব তুলেছেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের সরকার ২৫ মার্চ কালো রাতকে যাতে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সেজন্য দীর্ঘ দিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এমন ঘটনা কোথাও হয়নি। এটার স্বীকৃতি অবশ্যই হওয়া উচিত। আশা করছি এই অব্যাহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আমরা পাব। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |