আর নিশ্চুপ নয়, এবার পাল্টা আক্রমণের সময় এসেছেঃ রিজভী
নিউজ ডেস্ক:
|
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আর কতদিন নিশ্চুপ থাকব! এবার পাল্টা আক্রমণের সময় এসেছে। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে তারা প্রত্যাঘাত করবে সেই সময় এসে গেছে। তারা এখন প্রতিটি অন্যায় অবিচারের প্রত্যাঘাত করবে। সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ সরকার জুলুমশাহী কায়েম করেছে। মানুষের সকল অধিকার খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আপনারা মনে করেছেন আমরা নিশ্চুপ থাকব? আপনারা (আওয়ামী লীগ) হুমকি দেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা দেন হামলা করেন গ্রেপ্তার করান, গুলি করে হত্যা করান। আর নয় এবার পাল্টা আক্রমণের সময় এসেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা এখন দুর্বল অবস্থায় আছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রোটেকশনে আপনাদের অস্ত্রধারী ক্যাডার ছাড়া উপায় নেই। আপনাদের জনগণের কাছে আসার কোন মুখ নেই। গণতন্ত্র কবর, প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে আপনারা জনগণের কাছে মুখ দেখাতে পারেন না। রিজভী বলেন, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সারা দেশব্যাপী যে কর্মসূচি চলছে সে কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গাজীপুরের কর্মসূচি শুরু করার সময় পুলিশ বেপরোয়াভাবে আক্রমণ করেছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যুবদলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবনেতা জাকির, শাজাহান, নাসির, মাসুম আরিফ, মারুফ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচিতে ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ শোক মিছিল। আজ কেন গুলি করা হলো? আজ সেসব মানবাধিকার কর্মীরা কোথায়? যারা বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনার আমলে গুম খুনের তথ্য ভুয়া, বিএনপি ভুয়া তথ্য দিচ্ছে। তারা কোথায়? ভোলায় যখন রহিম, আলম, মুন্সিগঞ্জে শাওন এবং নারায়ণগঞ্জের শাওনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তখন এই সমস্ত মানবাধিকার কর্মী কোথায় ছিলেন। তিনি আরও বলেন, তারা বলে আমরা নাকি পতাকাকে অপমান করছি। মিশরের কায়রোতে, তিউনেশিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য পতাকা হাতে নিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। আমরা সেই গণতান্ত্রিক মানুষের মতো লাঠির আগায় পতাকা নিয়ে নামব। কারণ এ পতাকা আমাদের উদ্দীপনা জাগায়। এই পতাকা যেকোনো অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রেরণা যোগায়। তিনি বলেন, আমাদের শোক মিছিল আরও দীর্ঘ হতে পারে। আপনারা গুলি করেন আর ভাবছেন যে আমরা ভয় পেয়ে গেছি। ভয়ের দিন চলে গেছে। আর কোনো ধরনের হুমকি, গুলি করে জনগণকে ভয়ের রাজত্বের মধ্যে রাখতে পারবেন না। ভয়ের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে। জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান শামীমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |