তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’র ১৯তম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র দল ‘ড্রোগো’। এ দলের সদস্যরা হলেন সৈয়দ শাদাব তাজওয়ার, তাসমিম সুলতানা নওমী ও সাদীদ জুবায়ের মোরশেদ।

কয়েক মাসব্যাপী বেশ কিছু রাউন্ডে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বর্ণাঢ্য গ্র্যান্ড ফিনালে হয়। এতে অংশগ্রহণকারী চার দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ‘ড্রোগো’।

প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দল স্ট্রেঞ্জার্স (ফাইয়াজ লাবিব, নাফিস কাজী ও শাফকাত তানজীম আহমদ) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল রক, পেপার সিজর্স (মাশরুর আহমেদ জিদান, আদিলা আহমেদ ও তানভীর সিফাত)।

অন্য ২৬টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে এ বছর ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বৈশ্বিকভাবে বিজয়ী দলটি তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য প্রাথমিক তহবিল বা সিড ফান্ডিং লাভ করবে।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বক্তব্যে তিনি নতুন প্রজন্মের মেধার পরিচর্যায় এই ধরনের ট্যালেন্ট প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা ও তরুণদের দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেহজাদ মুনীম, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসীমসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এ বছরের ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীরা তিনটি ইএসজি (এনভায়রনমেন্ট, সোস্যাল, গভর্ন্যান্স) থিম- বৃত্তাকার অর্থনীতি (সার্কুলার ইকোনমি), কর্মক্ষেত্রের ডিজিটালাইজেশন এবং ব্লকচেইনের মধ্যে থেকে যে কোনো একটি থিম বাছাইয়ের পর স্বকীয় ব্যবসায়িক সমাধান প্রয়োগ করে সে বিষয়ে সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। বিজয়ী দলের ব্যবসা বিষয়ক সমাধান ছিল টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবহার করে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রস্তুত করা।

২০০৪ সাল থেকে দেশজুড়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে। করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর এই প্রতিযোগিতা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা