স্থায়ী ক্যাম্পাসের আশ্বাসে চার ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন ভিকারুননিসার ছাত্রীরা
নিউজ ডেস্ক:
|
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধানমন্ডি শাখার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে ফিরে যান। এরপর ধানমন্ডি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেন তারা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, তারা জানতে পেরেছেন, ধানমন্ডিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই শাখার সুনাম আছে- এমন শিক্ষকদেরও অন্য শাখায় বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। এজন্য তারা প্রথমে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেন। এরপর স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ক্যাম্পাস বন্ধের চেষ্টার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তারা বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও বিভিন্ন মাধ্যমে তারা বিষয়টি জেনেছেন। আগের চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুনভাবে চুক্তি করতে ভবনের মালিক রাজি হচ্ছেন না। এখানে ছয়তলা ভবন অবৈধভাবে করা হয়েছে। সেটি নিয়েও ঝুঁকি রয়েছে। মালিক বারবার ভবন ছেড়ে দিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিচ্ছে। ওই সময় ধানমন্ডি শাখার শিক্ষক ফারহানা খানম অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ শিক্ষক। ধানমন্ডি ক্যাম্পাস বন্ধের চেষ্টা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে ফারহানা খানম বলেন, একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। এমন কিছুই হবে না। তবে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এই সিনিয়র শিক্ষকের আশ্বাসেও কর্মসূচি স্থগিত করেননি। পরে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ঘটনাস্থলে এসে স্থায়ী ক্যাম্পাস করার আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ধানমন্ডি ক্যাম্পাস সরানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবির বিষয়ে আমি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছি। এরপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রাস্তা ছেড়ে দেন। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ভবনের মালিক আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে চুক্তি করতে রাজি হচ্ছেন না। স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এত অর্থ কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, তা নিয়ে দু-তিনদিনের মধ্যে গভর্নিং বডির সভা ডাকা হবে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |