বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাবির প্রয়োজন আহরণ ও সৃষ্টিঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৪২ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবির প্রয়োজন আহরণ ও সৃষ্টিঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ছবি । সংগৃহীত

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শতবর্ষী ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এখন জ্ঞান আহরণ ও সৃষ্টি প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার অস্তিত্বের একশ বছর পার করেছে। সামনের দিনগুলোতে সে কীভাবে এগোবে সে প্রশ্নটা খুবই সঙ্গত। এগোতে হবে অবশ্য উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। এজন্য প্রয়োজন হবে বিতরণের লক্ষ্যে জ্ঞান আহরণ ও সৃষ্টি।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে প্রয়াত অধ্যাপক আহমদ কবির স্মরণে প্রথম স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাবির অগ্রযাত্রা নানাভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। এমনও ঘটনা ঘটেছে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি টিকতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিককালে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কেই হয়তো এতো প্রতিবন্ধকতা হটিয়ে সামনে এগোতে হয়নি। আবার সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাবি যে দায়িত্ব পালন করেছে তাও অসামান্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও গৌরবকে স্মরণ করার সময় ওইসব বাধা-বিঘ্ন ও দায়-দায়িত্বকে বিস্মৃত হলে চলবে না।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ দুর্বলতার বিষয়ে যে অভিযোগ, তা কেবল ঢাবি সম্পর্কে নয়, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেই। তবে ঢাবিই যেহেতু প্রথম ও প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়, তাই পরিবেশ উন্নয়নে নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দিতে হবে। এটি তার জন্য ইতিহাস নির্ধারিত কর্তব্য। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলোর আরেকটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক জীবনকে উজ্জীবিত করা। এজন্য অত্যাবশ্যক হচ্ছে ছাত্র সংসদের বার্ষিক নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকেও নিয়মিত উৎসবে পরিণত করা চাই।

বর্তমানে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এই বিপ্লব উৎপাদনশীলতার অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটাবে এবং পৃথিবী ভরে যাবে প্রাচুর্যে। আর এর কেন্দ্রে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রশ্ন হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও তার সৃষ্টিশীলতার মালিকানা থাকবে কাদের হাতে?

দুটি প্রশ্ন রেখে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগের স বৈপ্লবিক অবদানের ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছে, তেমনি মালিকানা অল্পকিছু সুবিধাভোগীদের হাতেই কী থাকবে, বাকি মানুষদেরকে বঞ্চিত করে? এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মানুষের হৃদয়ের স্থানটা হবে কোথায়? হৃদয় কী নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধির? প্রশ্ন দুটি আসলে চ্যালেঞ্জের।

তিনি বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তব্য থাকবে। সেটা হলো মানুষের মনুষ্যত্বকে রক্ষা করা। এজন্য প্রয়োজন তবে মানববিদ্যার চর্চা।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ