বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১০ লাখ ডলারে বিক্রি হলো মোহাম্মদ আলীর আঁকা ছবি
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৬:০৮ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

কিংবদন্তী বক্সার মোহাম্মদ আলীর বক্সিং প্রতিভার কথা সর্বজনবিদিত হলেও, তার ছবি আঁকার বিরল প্রতিভার কথা অনেকেরই অজানা। বক্সিং রিংয়ে লড়াইয়ের ফাকেও ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন মোহাম্মদ আলী। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে তার নিজ হাতে আঁকা তেমনই কিছু ছবি নিলামে তোলা হয়েছিল। সেখানে ১০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে সেই ছবিগুলো। বুধবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক নিলাম সংস্থা বোনহামস অকশন হাউসে নিলামে তোলা হয়েছিল মোহাম্মদ আলীর ২৬ টি চিত্রকর্ম। এসব চিত্রকর্মের মধ্যে ছিল পেন্সিল- চারকোলে এবং রং-তুলিতে আঁকা ড্রইং, স্কেচ ও পেইন্টিং।

এসব চিত্রকর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ‘ভ্রমরের মতো দংশন’ (স্টিং লাইক এ বী) পেইন্টিংটি। নিলামে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে এই ছবিটি কিনে নিয়েছেন জনৈক ক্রেতা। সর্বকালের সেরা এই মুষ্টিযোদ্ধা একাধারে কবি ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকর্মী ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তার এসব পরিচয় ও কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এসবের পাশাপাশি তিনি যে একজন চিত্রশিল্পীও ছিলেন, তা এই প্রথম জানল বিশ্ববাসী।

নিলামে এসব চিত্রকর্ম তোলার আগে বোনহামস অকশন হাউসের পপুলার কালচার বিভাগের পরিচালক হেলেন হল বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী ছিলেন একটি প্রজন্মের সাংস্কৃতিক আইকন। তার আঁকা যে ছবিগুলো আমরা পেয়েছি সেগুলোর মধ্যে সেসব বিষয়সমূহ প্রাধান্য পেয়েছে, যেগুলো তার হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল- বক্সিং, নাগরিক অধিকার, ধর্ম, বিশ্বশান্তি ও মানবতা।’ নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া ছবি ‘ভ্রমরের মত দংশন’ ১৯৭৮ সালে এঁকেছিলেন মোহাম্মদ আলী। হেলেন হল বলেন, ‘বক্সিং রিংয়ে প্রতিপক্ষদের উদ্দেশে তার একটি উক্তি বেশ জনপ্রিয় ছিল- আমি প্রজাপতির মতো উড়ি এবং ভ্রমরের মতো দংশন করি। যদি তুমি বুদ্ধিমান হও, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো।’

তার ‘ভ্রমরের মতো দংশন’ ছবিটি এই থিমকে ভিত্তি করেই আঁকা হয়েছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন হেলন হল। মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তৎকালীন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সলি লিস্টনকে পরাজিত করে বিশ্বসেরা হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে হৈচৈ ফেলে দেন তিনি। তার পরের বছর, ১৯৬৫ সালে ‘নেশন অব ইসলাম’ নামের সংস্থায় যোগ দিয়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলী রাখেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নিজের পেশাদার খেলোয়াড়ী জীবনে মোট ৬১ টি হেভিওয়েট বক্সিং ম্যাচে অংশ নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী, তার মধ্যে জয় পেয়েছেন ৫৬ টিতে। ১৯৮০ সালে বক্সিং থেকে অবসর নেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কের রোগ পার্কিন্সন্সে ভোগার পর ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে মারা যান মোহাম্মদ আলী।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ