বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুইসদের হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে সেমিতে স্পেন
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১, ০৬:০৩ সকাল | অনলাইন সংস্করণ

নাহ, এবার আর হলো না। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের মতো এবার আর টাইব্রেকার ভাগ্য পক্ষে এলো না। রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গে সুইসদের হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করলো ওয়ারজাবালের নেয়া শেষ শটটা! লাল জার্সিটা যেন আরও রক্তাক্ত হলো, গ্যালারি ছাড়িয়ে সুইসদের ঢুকরে কেঁদে ওঠার শব্দ নিশ্চয়ই সুইজারল্যান্ডের অলিগলিতে পৌঁছে গেছে ততক্ষণে। সুইস গোলকিপার ইয়ান সমার যেন রূপকথা থেকে উঠে আসা কোন যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি। বুক চিতিয়ে দলকে রক্ষা করছিলেন একার হাতে। স্প্যানিশদের একের পর এক আক্রমণ তার কাছে নস্যি হয়ে যাচ্ছিলো। তবুও হলো না! ওদিকে স্প্যানিশ শিবিরে বুনো উল্লাস। গলায় আটকে থাকা শ্বাস এতক্ষণে ছাড়তে পারলেন কোচ লুই এনরিকে। বুসকেটসের নেয়া ১ম শটটা মিস হওয়ার পর থেকে কপালে যে ঘাম জমতে শুরু করেছিল, সেটি মুছে গিয়ে গায়ে লাগলো একপশলা হিমেল বাতাস। বিজয়ের সুখ বুঝি এমনই! না, স্প্যানিশরা ইউরো জিতে যায় নি। ট্রফিটা হারিয়ে বসে নি সুইজারল্যান্ডও। তবে সে পথটা যে দেখা যাচ্ছিলো! উঁকি দিলেই মনের কোণে ভেসে বেড়াচ্ছিল। একটু একটু করে সে পথে এগোচ্ছিলও তারা। সেই যে, ৮ মিনিটে একটা আত্মঘাতী ভুল করে বসলেন জাকারিয়া, সেখান থেকে সুইজারল্যান্ড বেরিয়ে আসতে পারে আরও পাক্কা ১ ঘন্টা পর। ৬৮ মিনিটে জার্দান শাকিরির গোলটা যে কতোটা প্রশান্তির ছিলো, দলটার দিকে তাকালেই টের পাওয়া যাচ্ছিলো। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচে প্রাণের কমতি ছিলো না। তবে ৭৭ মিনিটে ফ্রেউলারকে দেয়া রেফারির লাল কার্ডটা বেশ বিতর্কের যোগান দিয়েছে। সুইসদেরকে বানিয়ে দিয়েছে ১০ জনের দলে। তবু হাল ছাড়ে নি ওরা। থামে নি স্প্যানিয়ার্ডরাও। একটা মাত্র গোলের জন্য কি প্রাণপন চেষ্টা ওদের! এখানে একটা পরিসংখ্যান টানা যাক। সুইজারল্যান্ডের গোলমুখে ২৮টি শট নিয়েছে স্পেন। এর মধ্যে ১০টি ছিল গোলপোস্টে! অথচ একটিমাত্র গোল, যেটি হলো আত্মঘাতী। এখান থেকে দুটো বিষয় পরিষ্কার। একটা গোলের জন্য স্প্যানিশদের মরিয়া চেষ্টা। আর ১০ জনে পরিণত হওয়া সুইসদের বুক চিতিয়ে লড়াই। অবশ্য সুইসদের হয়ে লড়াইটা নিজের দুই গ্লাভসে সামলেছেন গোলকিপার ইয়ান সমার। একের পর এক স্প্যানিশ গোলা ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলা চলে তার কাছেই অসহায় হয়ে পড়ে এনরিকে বাহিনী। তারপর? তারপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট হয়ে পেনাল্টি শ্যুটআউট। সেখানেও সমার কম যান নি। দু'টি শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। ওদিকে উনাই সিমনও ঠেকান দু'টি শট। একটি বল যায় বারের ওপর দিয়ে। কিন্তু ওয়ারজাবালের শেষ শটটা আর ঠেকাতে পারেন নি সমার। সব চেষ্টা-যুদ্ধ শেষ ওখানেই। আর হলো না। হলো না প্রথমবারের মতো ইউরোর সেমিফাইনালে ওঠা, হলো না ইতিহাস লেখা। এতোটা পথ যুদ্ধ করে খালি হাতে ফেরার নামই হয়তো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা যে কতোটা কঠিন, হাড়ে হাড়ে টের পাবেন শাকিরি, জাকারা। রাশিয়ার এই রাত স্মৃতি হয়ে পোড়াবে বারেবারে। রাজনীতি/কেএস

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ