শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি খাত চুলচেরা বিশ্লেষণ করছিঃ প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫০ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ
সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি খাত চুলচেরা বিশ্লেষণ করছিঃ  প্রধানমন্ত্রী

ছবি । সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি খাত চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে জাতীয় সংসদে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সাম্প্রতিক সমস্যায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনা সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক।

বিভিন্ন দেশ থেকে গম, ভুট্টা ও চাল আমদানির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করে যাচ্ছি। কারণ দেশে যেন কোনো রকম খাদ্য সংকট না হয়। সেই সঙ্গে আমি সকলকে আহ্বান করেছি আমাদের যেসব জমি আছে সেগুলোতে সবাই যেন ফসল ফলায়। সবাই যেন চাষবাস করে। কিছু যেন উৎপাদন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেসব বৈদেশিক ঋণ নেই তা সময়মত পরিশোধ করি, কারণ আমরা ডিফলডার হবো না। আমরা সময়মতো খোঁজ নেই কখন এসব ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের অর্থনীতি যেন শক্তিশালী থাকে।

বিরোধী দলের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে। উন্নয়ন বাজেটের বেশ কয়েকটি কাজ স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই যে এতগুলো ব্যবস্থা আমরা নিলাম এটার কারণ হচ্ছে যাতে দেশে কোনো সংকট দেখা না দেয়। আমাদের প্রতিটি খাতে আমরা কি অবস্থানে আছি, সেটা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছি। ওই গবেষকরা কি বলছে সেটা না। আমরা নিজেদের মতো গবেষণা করে নিজেদের অবস্থা দেখে মানুষের বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বের অর্থনৈতিক উঠানামা আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করি।

করোনা এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ হওয়ার পর আমি বলে রেখেছি, যেকোনো সময় আমাদের সংকট দেখা দিতে পারে, এজন্য নিজেদের ব্যবস্থা নিজে তৈরি করতে হবে।

সরকারের দেওয়া সব ধরনের সুবিধার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যেকোনো ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ। এছাড়া যেকোনো বৈদেশিক ভ্রমণ ও স্থগিত করা হয়েছে। আসবাবপত্র, আপ্যায়ন, যন্ত্রপাতি ও ব্যাংক ঋণ সীমিত করা হয়েছে। কৃচ্ছ্রতা সাধনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলে সকল প্রকার প্রকল্পে বিভিন্ন কমিটির সম্মানী বাবদ ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ