রাজনৈতিক দলের মতৈক্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়া উচিত : নূরুল হুদা
নিউজ ডেস্ক:
|
নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পরবর্তী কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়, সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।’ ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান কমিশনের। নতুন কমিশন গঠন নিয়ে এরই মধ্যে সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়ে দিয়েছে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। অবশ্য, রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে নতুন কমিশন গঠনে নাম বিএনপি নাম প্রস্তাব করে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান কমিশন কোনো মতামত রাখবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘নতুন কমিশন কী হবে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে আমরা কমিশন বসে দেখব, আমাদের কোনো মতামত আছে কি না।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কীভাবে ঐকমত্য আসতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এটা তো রাষ্ট্রপতির বিষয়। সেটা বলতে পারব না। এটা ওই স্টেজে হতে পারে।’ এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের কোনো কিছু করণীয় নেই জানিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকে না।’ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন তৈরি হয়ে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে আস্থার সংকট দূর হবে কিনা জানতে চাওয়া হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে। তিনি বলেন, ‘এটা কী ধরনের আইন হবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না।’ সংবিধানে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে নির্দেশনা থাকলেও গত পাঁচ দশকে কোনো সরকার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে জানান তিনি। নির্বাচন কমিশন অনাস্থার জায়গা নয় বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘জনগণের আস্থা নেই একথা বলা যাবে না, জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচেপড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা।’ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |