শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যুবরত্ন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর জন্মদিন আজ
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২, ০৫:১৪ সকাল | অনলাইন সংস্করণ
যুবরত্ন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এর জন্মদিন আজ

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। সারাদেশে জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ববান, দয়ালু ও ক্যারিশমাটিক নেতা। জনদরদি রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে সমান গ্রহণযোগ্যতা। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

 

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁর জীবন জুড়ে রাজনীতি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমানে। কিন্তু এর আগেও সবসময় তিনি নিভৃতে সংগঠনের কাজ করেছেন। পাদ প্রদীপের আলো এড়িয়ে নিবিষ্ট মনে সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও নেতৃত্বে থাকলেও এখন তাঁর পরিচিতি দেশজোড়া।

 

একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, জনপ্রিয় নেতা, সৎ, চরিত্রবান এবং আদর্শ মানুষ। একজন মানুষের যেসব গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তার সব গুণাবলীই আছে ব্যারিস্টার শেখ নাঈমের। 

 

শোকের মাস অগাস্টে জন্মদিন বলে জাতির জনক ও তাঁর শহীদ পরিবারের শোকাবহ স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কখনোই আড়ম্বপূর্ণ জন্মদিন পালন করেন না তিনি। 

 

গোপালগঞ্জ-২ আসনের ৮ বারের নির্বাচিত সফল সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী, বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাঈম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের ছেলে শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সে হিসেবে শেখ নাঈম হলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র।  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলেন শেখ নাঈমের ফুফু। 

 

বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে এক পরিচিত নাম শেখ ফজলে নাঈম। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। শুধু শুনেই ক্ষান্ত হন না।  তাদের বিপদে আপদে তিনি তাদের সাহায্য করেন। বাংলাদেশের সব জেলার মানুষ আসেন তার কাছে। এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে, তার কাছে এসে সাহায্য না পেয়ে ফিরে গেছেন।

 

 তাঁর বিনয় ও অমায়িক ব্যবহার সকলকে আকৃষ্ট করে। তিনি উদার, নিরহংকার এবং মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত। যে মানুষ তার সান্নিধ্যে একবার গিয়েছে, সেই মানুষই মুগ্ধ হয়েছে। দেশজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে সাধারণ মানুষ তাঁকে কতটা ভালোবাসে।  

 

বিপদে আপদে মানুষের ভরসার আশ্রয়স্থল শেখ নাঈম। জনকল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চার কথা তিনি শুধু নেতাকর্মীদের অনুসরণ করতে বলেন তাই নয়, নিজেও তা করে দেখান। 

 

দরিদ্র মানুষ কখনো তাঁর কাছ থেকে খালি হাতে ফেরে না। কারো চিকিৎসা, কারো সন্তানের পড়ার খরচ, কারো মেয়ের বিয়েসহ নানা প্রয়োজনে যারাই যখনই এসেছেন তাঁর কাছে। সবাই ফিরেছেন হাসিমুখে।  

 

অনুসারী, ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর জীবন এবং কর্ম প্রেরণার। তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সবাইকে সময় দেন। 

 

তিনি যেমন মিষ্টভাষী তেমনই বুদ্ধিদীপ্ত। দুর্বলের কাছে তিনি যেমন বন্ধু, আবার তেমন অন্যায়-অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর।

 

এক এগারোর সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে রাজপথে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে যে নেতারা অবিচল নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সংগ্রাম করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলে নাঈম। ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি পেয়ে জননেত্রী সুধা সদনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকামী জনতাকে যখন সম্ভাষণ জানাচ্ছিলেন তখন নেত্রীর সাথেই ছিলেন তরুণ তুর্কী শেখ ফজলে নাঈম। 

 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে অসহায়, অসচ্ছল এবং হঠাৎ কর্মহীন হওয়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। 

 

শুধু গোপালগঞ্জ নয় সারাদেশের সব জেলায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে করোনা কালে খাদ্য সামগ্রি, চিকিৎসা সামগ্রি, আর্থিক সহায়তা সহ সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন। দেশব্যাপী এ সময় যুবলীগের এই সমন্বিত কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়। যা মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। 

 

করোনাভাইরাসের মধ্যে সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূল অঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকা। গোপালগঞ্জসহ উপকূল এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তৎক্ষণাৎ শেখ নাঈম খাদ্য-সহায়তাপ্রদান করেন।

 

যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব লাভের পর থেকে সংগঠনকে সাজাতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ইতিমধ্যে তিনি যুবলীগ নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে মানব সেবাকে ব্রত হিসেবে নিয়েই সততার পথে যুবলীগ করতে হবে। তাঁর নির্দেশিত পথেই যুবলীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে চলেছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সফল সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে তাঁর দিক নির্দেশনায়। 

 

শেখ নাঈম ভাই রাত-দিন দেশের মানুষের জন্য আত্ম-মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা, জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন, শান্তি এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার প্রতি সমান গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। একটি  সম্প্রতিময় দেশ গড়ার স্বপ্নে পরিচালিত করছেন সমস্ত কার্যক্রম। 

 

যে মানুষটি গরীব, দু:খী ও মেহনতি মানুষের পরম বন্ধু, যে মানুষটি চারিত্রিক মাধুর্যের পরিপূর্ণতায় বিকষিত, যে মানুষটি তাঁর আদর্শিক চেতনা দিয়ে লক্ষ লক্ষ যুব ও তারুন্যের অন্তরে আসীন,যে মানুষটির মানবিকতা সৃজনশীলতা, শিক্ষা ও প্রগতিশীল চেতনায় উজ্জীবিত করে চলছে ছাত্র ও যুব সমাজকে, মানবতার আলোকবর্তিকা প্রিয় সেই মানবিক মানুষ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাইয়ের জন্মদিনে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা

সংগ্ৰহ- নূরুল আজিম রনি

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ