যারা সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে রাখতে চায়, তারাই বর্তমান সরকারকে পছন্দ করেঃ রিজভী
নিউজ ডেস্ক:
|
স্বাধীনতাকে যারা গুরুত্ব দেন না, সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে রাখতে চান, তারাই বর্তমান সরকারকে পছন্দ করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নতজানু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য কিছুই করতে পারছে না। তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না। এমনকি ভারত থেকে এক মগ পানিও আনতে পারেনি তারা। সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করছে বিএসএসএফ তা নিয়ে কথা বলে না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতকে কী দিতে গেছেন তাও পরিষ্কার নয়। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারা মুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘ভারতকে যা দিয়েছি তা মনে রাখার মতো’- শেখ হাসিনার এমন কথায় প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনেক পুরনো। অতীতের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান কিন্তু অমীমাংসিত বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ করেছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক ফোরামেও কথা বলতেন। কিন্তু নতজানু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য কিছুই করতে পারছে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়োজনে বাংলাদেশকে কারও ‘স্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। শেখ হাসিনার উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনার পিতা বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতাকে আপনি সফল করতে চান? এটাই হচ্ছে আপনার অঙ্গীকার যে আমার বাপ ব্যর্থ হয়েছে আমি হব না কিন্তু শুধু নামটা নিচ্ছে না। সেই বাকশাল নতুন আঙ্গিকে নতুন রুপে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশে। তার আলামত প্রতিটা জায়গায় ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের ঘটনার সাথে শেখ হাসিনা নিজে জড়িত। সেসময় পরিকল্পিতভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আজও তাকে নির্যাতনের বৃত্তে বন্দি রাখা হয়েছে। তাকে দেশের মাটিতে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় বন্দি করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনার পথ চলা নির্বিঘ্ন হয়। তেমনই ১/১১ ’র লক্ষ্য ছিলো দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করা। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। যা যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। যে যুদ্ধে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হবে। সেই সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিশ্চিত হবে। সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাগল হয়ে গেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে দায়িত্বে থাকে? তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। এখন থেকে প্রতিরোধ নয় প্রতিশোধ নেয়া হবে। সংগঠনের সভাপতি আবু ইউসুফ সরকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম সহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |