শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ঢাকায়
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৬:২১ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত চার দিনের সফরে আজ (রোববার) ঢাকায় আসছেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তার সফরকে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান তুলে ধরার একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে।

বিশেষ করে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে সরকার নিজের অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চিলির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এর পাশাপাশি তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি নাগরিক সমাজ, বিদেশি কূটনীতিক এবং মানবাধিকার সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত সরকার ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন তিনি।

তবে মিশেল ব্যাশেলেতের এই সফরকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সামনে নিয়ে এসেছে। নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, বাংলাদেশ সফরের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নাগরিক সমাজের কাজের সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে নিন্দা জানানো উচিত।

গত বুধবার নয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে দেওয়া যৌথ ওই বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, নাগরিক সমাজের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানের ফলে বাংলাদেশের ২০২৩ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পথে চরম ঝুঁকি তৈরি করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নাগরিক অধিকার কর্মী, গণমাধ্যম ও সরকারের সমালোচকদের কণ্ঠরোধের জন্য ব্যবহার করছে।

মার্কিন ওই পদক্ষেপের পর থেকেই মানবাধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র তো আছেই পশ্চিমা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা ও তথ্য বিনিময়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি নমনীয় হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের বাংলাদেশ সফর সরকারের এই অবস্থানেরই ধারাবাহিকতা।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করায় আমরা তাঁকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের আগামী অধিবেশনের পর তিনি হাইকমিশনারের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তাই এ সফরের একটি তাৎপর্য রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ