অধিভুক্ত না হয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সুস্পষ্ট অপরাধ’
নিউজ ডেস্ক:
|
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না হয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করানো মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির। অধ্যাপক ইউসুফ ফকির বলেন, ‘অধিভুক্ত না হয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করানো সুস্পষ্ট অপরাধ। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলে বিএমডিসিসহ সংশ্লিষ্ট অংশজনদের সহযোগিতায় এসব কলেজের তালিকা সংগ্রহ করে তাদেরকে বাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শর্তগুলো পূরণ না করলে কেন তাদের জিইয়ে রাখবো? মেডিকেল কলেজগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যই হলো, মান যেন বজায় থাকে। পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে কিনা, বই আছে কিনা, রোগী আছে কিনা—এসব নিশ্চিত না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে যদি দুইশ’ রোগীও না থাকে, তাহলে ছেলে-মেয়েরা কোথা থেকে শিখবে?’ এ ধরনে অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্ব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক পক্ষ মামলা করলে আরেক পক্ষকে তৎপরতা দেখাতে হবে। আমাদেরকে আদালতে গিয়ে বোঝাতে হবে যে, তারা শর্তগুলো পূরণ করে না বলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে বোঝাতে ব্যর্থ হলে, এর দায় তো আমার। আমাদেরকে ভালো আইনবিদ নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়াও অনুমোদনহীন কলেজের নাম উল্লেখ করে আমাদের বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত যে, এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবেন না। তা না হলে গ্রামের পয়সাওয়ালা একজন মানুষ তো অনুমোদনহীন কিংবা মানহীন বিষয়টি বুঝবেন না। তিনি তার সন্তান ভর্তি করিয়ে প্রতারিত হবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এ দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’ দায়িত্ব পেলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ লক্ষ্যে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে সেগুলো হলো: ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি। প্রসঙ্গত, শর্ত পূরণ করতে না পারায় এরই মধ্যে একাধিক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো: ১. কেয়ার মেডিকেল কলেজ, ২. আইচি মেডিকেল কলেজ, ৩. নর্দান মেডিকেল কলেজ, ৪. রংপুর নর্দান মেডিকেল কলেজ, ৫. নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ ও ৬. শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী। এ ছাড়াও তালিকায় আরও একটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। জানা গেছে, অনুমোদন না থাকলেও কোনো কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আদালতের নোটিস দেখিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |