বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রঃ আমু
নিউজ ডেস্ক:
|
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বেনিফিশিয়ারি হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে পিরোজপুর জেলা সমিতি, ঢাকা। আমির হোসেন আমু বলেন, আমাদের দেশে যারা বামপন্থি আছেন, তাদের কথা ও রাজনীতি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এক হওয়ার কথা না। কিন্তু লক্ষ্য করা যায়, বামপন্থি হিসেবে পরিচিতরা যে কথাগুলো বলছেন, তাদের কথার অর্থ, তাদের কথার ইঙ্গিত, তাদের নিজেদেরই বিপক্ষে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের যে মূল রাজনীতি, তার বিরুদ্ধে যায়। সেটা আমাদের বিরুদ্ধে না, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে না। এই জিনিসটা তারা বোঝেন কী, বোঝেন না এটা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে কারও সঙ্গে আপেস করেননি। তিনি তার রাজনীতি থেকে লক্ষ্যচ্যুত হননি। অন্যভাবে আপস হতে পারেন। অন্যভাবে ট্যাক্টফুলি আমরা এগিয়ে যেতে পারি। রাজনৈতিক বা আদর্শিকভাবে কারও সঙ্গে আমরা আপস করিনি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দেওয়া, পরে রাজনীতিতে আনা, ফ্রিডম পার্টি গঠন করা, তাদের সংসদ সদস্য করা, বিরোধী দলে নেওয়ার কাজ করেছেন জিয়াউর রহমান। একইভাবে করেছেন এরশাদও। এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে রাজনীতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিয়া। তারপরও বাস্তবতার কারণেই বিভিন্ন সময় আমাদেরও বিভিন্ন আন্দোলনে সহায়ক শক্তি হিসেবে তারা এসেছে, আমরাও ব্যবহার করেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। এই দুর্দিনে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, যখন লন্ডনের মতো জায়গায় প্রত্যেকটি জিনিসের দাম চারগুণ বেড়েছে। পৃথিবীর সব জায়গায় এই অবস্থা। আমরা তো আমদানিনির্ভর দেশ। তারপরও আমরা যেসব দেশ থেকে আমদানি করি বা রপ্তানি করি সেসব দেশের অবস্থা কী সেটা দেখতে হবে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, আল্লাহর রহমত আমাদের ওপরে আছে। আমরা আশাবাদী এই বছরের মধ্যে আমাদের সার্বিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে আমরা আগের মতো এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ওপর আঘাত নয়, এটা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের নস্যাৎ করার চক্রান্তের দিন। দেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে সুদূর পরিকল্পনা নিয়ে ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। পিরোজপুর জেলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. রোস্তম আলী ফরাজী প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |