পল্টনে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নিউজ ডেস্ক:
|
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবসের হরতালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর পল্টন এলাকায় সিপিবি সভাপতি শাহ আলমের বক্তব্য শেষে পুলিশের সঙ্গে কয়েকজন হরতাল সমর্থকের বাক-বিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে। এ ঘটনায় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে হরতাল সমর্থক ও সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে, হরতাল সমর্থকদের ছোড়া ইট-পাটকেলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের হয়। পল্টন ছাড়াও গুলিস্তান, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ অনেক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় মিছিল থেকে অনেককে আটক করেছে পুলিশ। বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। কোনো যানবাহন জোর করে আটকাচ্ছি না। হরতালে শ্রমজীবী মানুষদেরও সমর্থন আছে। সরকার যদি জনগণের দাবি না মানে তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হরতাল পালনে কোথাও কোথাও হামলা হচ্ছে। তার দাবি, সরকার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা করাচ্ছে। নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। হরতাল কর্মসূচিতে ৯ দফা দাবি তুলেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশের গরিবদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা, কৃষিবিদ ট্রাকের সংখ্যা ও খাদ্যপণ্যের দোকান বাড়ানো। এলপিজিসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করা। মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি বাতিল করে হাট-বাজার ও সুপার মার্কেটে নজরদারি ও তাদের তদারকি বৃদ্ধি করা। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |