নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই দেখবেন বিএনপিকে ভোট কারা দেয়: রিজভী
নিউজ ডেস্ক:
|
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকার শিক্ষা নিয়ে ভণ্ডামি করছে। বিশেষ করে পাস করা নিয়ে। একজন ছাত্র কোয়ালিটি বাড়ল কিনা সে চিন্তা করে না। শুধু পাস করিয়ে দাও জিপিএ-৫ দিয়ে দাও। তারপরে দেখা যাবে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে নিয়ে গেছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে নকল করে ক্ষমতায় গেছে তেমনই গোটা জাতিকে নকলের মধ্যে ফেলে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজকের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কিনা তার সদুত্তর দিতে পারেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা হলে তার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এই হচ্ছে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী।
'বিএনপিকে কেন ভোট দেবে' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ কথার উত্তরে তিনি বলেন, আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) সুস্পষ্ট করতে বলতে হবে ভোট কে দেয়। আসলে ভোট দেয় কে? পুলিশ, র্যাব, বিজিবি নাকি সরকারের সংগঠনের ছেলেরা? এটা আপনি আগে বলুন। বিএনপিকে কে ভোট দেবে? বিএনপিকে ভোট দেবে দেশের মালিক জনগণ; যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আপনারা জোর করে ডাকাতের মতো করে ক্ষমতায় এসেছেন। কে ভোট দেবে সে ভোটারদের কে আপনি চিনেন না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন তিনি ঠিকই করেছেন। বিএনপিকে কেন ভোট দেবে? কারণ আপনার ভোট হচ্ছে নিশিরাতের ভোট। আপনার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যেতে পারেন না। চতুষ্পদ জন্তুর ভোটকেন্দ্রে ঘুরে বেড়ায়। হাসিনা মার্কা ভোট তো এটা বিভিন্ন টাইপের ভোট। সুতরাং আপনার ভোটে বিএনপিকে কে ভোট দেবে? এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। জনগণ তার মালিকানা ফিরে পায়। তাহলে প্রধানমন্ত্রী আপনি দেখবেন ভোট কাকে বলে। আপনি তো আছেন দখলদার ডাকাতের মতো করে।
এ সময় রিজভী বলেন, আজকে সবচেয়ে অবহেলিত নির্যাতিত শিক্ষক সমাজ। যারা নির্যাতিত তারা কি করে জাতির মেরুদন্ড হবে? জাতির মেরুদন্ড হবে যারা ক্যাসিনিও চালায়। ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট হয়ে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করে তাদেরকে জাতির মেরুদন্ড বানানো হচ্ছে। আর যারা জাতির সত্তিকারের মেরুদন্ড তারা আজ নির্যাতিত অবহেলিত এমপিরা তাদেরকে কান ধরে উঠবস করায়।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |