তারেকের নির্দেশে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছেঃ এসএম কামাল
নিউজ ডেস্ক:
|
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নির্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরা দেশে মিথ্যাচার করছে, অপপ্রচার করছে, ষড়যন্ত্র করছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আজ বিকালে ঢাকার বাগেরহাট জেলা সমিতির আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসএম কামাল বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা মানবাধিকার মানবাধিকার করে মায়া কান্না কাঁদছেন, ২০০২ থেকে ২০০৩ নয় মাসে ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে বিনা বিচারে ৫৮ জন মানুষকে কারা হত্যা করেছেন। ১৬ জন সাংবাদিক কাদের আমলে হত্যা হয়েছে? ২০০১ সালের অক্টোবরে ১০০টি গ্রামে সংখ্যালঘু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। বাড়িঘরে হামলা হয়েছে এটা কারা করেছেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৪ দিনের শিশুসহ ১০ জন নারী-পুরুষকে কারা পুড়িয়ে মেরেছে। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে কারা হত্যা করেছে। এস এম কামাল আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যা করার জন্য ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কারা গ্রেনেড হামলা করেছে, গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ ২২ জনকে কারা হত্যা করেছে। বিদ্যুৎ না দিতে পেরে কারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান কারা করেছে। ভোট ডাকাত, ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, অস্ত্র চোরাচালান কারী, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি জামায়াতরা আজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মির্জা ফখরুলের কাজই হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, অপপ্রচার করা, দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। এস এম কামাল বলেন, সদ্য বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেটের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী জাতিসংঘের দৃষ্টিতে মানবাধিকার বা অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন উদ্বেগ প্রকাশিত হয়নি। যে সকল দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার ও মানবিক অধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে, সেটি জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান মিশেলের গতকালের রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নেই। জাতিসংঘের এই রিপোর্টে গুম- খুনের মতো বিশেষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যে সকল দেশে বিরাজমান, সে বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে। এই সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আসেনি। মিশেলের রিপোর্টে বরং রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক মানবাধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে প্রকারন্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসকল ক্ষেত্রে নানা যুগান্তকারী অর্জনকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |