ডলার চুরির ঘটনায় কৃষ্ণাদের ক্ষতিপূরণ দিলোঃ বাফুফে
নিউজ ডেস্ক:
|
সাফজয়ী মেয়েদের ব্যাগ-লাগেজ থেকে ডরাল চুরি যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আজ শনিবার শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানি সরকার ও সানজিদা আক্তারের হাতে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুরি যাওয়া অর্থের চেয়ে তাদের আরও বেশি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মেয়েদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেন বাফুফের উইমেন উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। চুরি যাওয়ার অর্থের চেয়ে বেশি পরিমাণ বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাদের। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষ থেকে মেয়েদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই অর্থ বুঝিয়ে দেন কিরণ। শামসুন্নাহার সিনিয়রের লাগেজে ৪০০ ডলার ছিল। তাকে দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। কৃষ্ণার ব্যাগে ছিল ৯০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ ডলার ছিল কৃষ্ণার এবং ৪০০ ডলার ছিল সানজিদার। কৃষ্ণার খোয়া যাওয়া টাকার পরিমাণ ১ লাখ টাকা হলেও তাকে দেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা। সানজিদা ৪০০ ডলার জমিয়েছিলেন আইফোন কেনার জন্য। তাই তাকে টাকা না দিয়ে আইফোন কিনে দেওয়া হয়েছে। মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমি কাল সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের বলেছিলাম, বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে এমন কিছু ধরা পড়লে, মেয়েদের তাদের হারানো অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমি বাফুফে সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি, টাকার পরিমাণটা আমি আপনাদের ভালো করে ব্যাখ্যা করি। শামসুন্নাহার সিনিয়র, তার ছিল ৪০০ ডলার। তাকে আমরা দিচ্ছি এক লাখ টাকা। অর্থাৎ, তার ৪০০ ডলারে হয় ৪০ বা ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু সভাপতির পক্ষ থেকে তাকে ১ লাখ টাকা, অনেক বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে।’ ‘এরপর কৃষ্ণার ব্যাগে ছিল ৯০০ ডলার এবং ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪০০ ডলার ছিল সানজিদার এবং ৫০০ ডলার ছিল কৃষ্ণার। কৃষ্ণার ৫০০ ডলার ও ৫০ হাজার টাকা মিলিয়ে হয় ১ লাখ টাকা। কৃষ্ণাকে আমি দিচ্ছি দেড় লাখ টাকা, যা হারিয়েছে তার থেকেও ৫০ হাজার টাকা বেশি দেওয়া হচ্ছে। সানজিদার ৪০০ ডলার ওর ব্যাগেই ছিল, যেটা হারিয়েছে। সানজিদা ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল, টাকাটা ও জমিয়েছিল আইফোন কেনার জন্য। সেই কারণে ওর জন্য একটা আইফোনই কেনা হয়েছে,’- যোগ করেন কিরণ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপাল থেকে ২১ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরে সাবিনা খাতুনের দল। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থজা জানানোর পর ছাদখোলা বাসে ট্রফি প্যারেড করে চ্যাম্পিয়ন দলকে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিমানবন্দরে কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের ব্যাগে চুরি হয়। সেই চুরি যাওয়ার টাকাই দুদিন পর বুঝিয়ে দেওয়া হলো তাদের। যদিও বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে চুরির ঘটনার কিছু ধরা পড়েনি। কিরণ বলেন, ‘বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না।’
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |