টিসিবির পণ্যে ওজনে কম, ইউএনও বললেন আগামীতে ব্যবস্থা নেবেন
নিউজ ডেস্ক:
|
সাতক্ষীরার তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। আগামীতে যাতে কম না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন ইউএনও। এ সময় ওজনে কম দেওয়ায় ক্রেতারা হট্টগোল শুরু করে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করেন। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যায়, শুক্রবার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে কার্ডধারী ১০৪৯ জনের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু করেন ডিলার মুকুন্দ ওয়েল মিলস।টিসিবি পণ্যর সরকারি প্যাকেজে মধ্যে ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিনি ও ২ লিটার তেল দেয়ার কথা থাকলেও ডিলার মুকুন্দ অয়েল মিলস প্রতি প্যাকেটে ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম করে কম দেওয়ার অভিযোগ করেন ক্রেতারা। এ সময় কার্ডধারীরা হট্টগোল শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুলিশের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আনেন। কার্ডধারী আড়ংপাড়া গ্রামের সাজ্জাত মোড়ল বলেন, ৪৬০ টাকা দিয়ে ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল ও ২ কেজি চিনি কিনে ওজন দিয়ে দেখি ডাল ২০০ গ্রাম ও চিনি ৪০০ গ্রাম কম। তেঁতুলিয়া গ্রামের মোজাম সরদার বলেন, সরকার গরীব মানুষকে কম দামে পণ্য কেনার জন্য কার্ড তৈরি করে দিয়েছে, তাতেও ডিলাররা ওজনে কম দিচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে অসাধুব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সাবডিলার মদন কুমার সাধু ও আব্দুস ছাত্তার জানান, আমরা ওজনে কম দেয়নি। মাল ক্রয় করে গোডাউনে রেখেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে তার লোক দিয়ে প্যাকেট করেছেন। ওজনে কম হলে তার দায়ভার নির্বাহী কর্মকর্তার আমাদের নয়। তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, গরীব মানুষের পণ্য ওজনে কম দেওয়া খুবই দুঃখজনক। যে মাল কম দেওয়া হয়েছে তা আগামী কোটায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, প্যাকেট প্রক্রিয়াজাত করার সময় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম কম হতে পারে। আগামীতে যাতে কম না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |