শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছাত্ররাজনীতি, ‘না’-তে মত বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৫২ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্ররাজনীতি, ‘না’-তে মত বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের

ছবি । সংগৃহীত

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির চর্চা ছিল নীরবে। ‘শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে না’- এমন শর্তে রাজি হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহুবার ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সুফল মেলেনি। এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ‘ওপেন’ করার দায়িত্ব নিল ছাত্রলীগ।

সম্প্রতি ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি।এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, ড্যাফোডিল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীতে অবস্থিত। অন্য চারটি ঢাকার বাইরের। সবমিলিয়ে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘সমন্বিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’-এর ব্যানারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘সমন্বিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’-এর ব্যানারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এরপর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন

এরপর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাদের প্রশ্ন, ছাত্ররাজনীতির নামে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে হানাহানি হয়, সেটা কি এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রবেশ করবে?

গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সুযোগ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের ই-মেইল করেছেন। এমন অভিভাবকের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি’।

এদিকে, ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির চর্চা, কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা, উদ্দেশ্য ও পরিণতির বিষয়ে জানতে ঢাকা পোস্ট কথা বলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শাহিদুল হাসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু হোরায়রা, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ান মুক্ত, ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজ এবং দেশের বাইরে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থানঃ

ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাস রাজনীতিকে ‘না’ করে ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, আইইউবিএটি, এআইইউবি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নজরে আনলে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী নিয়ম-কানুন করল, সেখানে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের (প্রতিষ্ঠান) কী ব্যবস্থা হলো, সেটা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের বিষয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটা ঠিক করে দেয় না। আমরা কোনো হস্তক্ষেপও করি না।

তবে, এসব প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে এক হাত নিতেও ছাড়েননি মন্ত্রী। বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান কখনও রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না। কারণ, রাজনীতি করা মানুষের অধিকার। কিন্তু দলীয় রাজনীতি কীভাবে হবে, সেখানে রাজনীতি যারা করবেন সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বোঝাপড়া, সৌহার্দ্য থাকা উচিত।

 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি এবারই কি প্রথমঃ

সম্প্রতি ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম কমিটি নয়। ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয় মূলত ২০০৯ সালে, ছাত্রদলের মাধ্যমে। ২০১১ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নামে একটি ইউনিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়। তখন ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয় মূলত ২০০৯ সালে, ছাত্রদলের মাধ্যমে। ২০১১ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নামে একটি ইউনিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়। তখন ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়

তাদের দেখাদেখি ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর প্রথম সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রদল ২০১৩ সাল পর্যন্ত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দেয়। ওই বছর (২০১৩ সাল) থেকে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দেওয়া শুরু করে ছাত্রলীগও। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আপত্তির মুখে কোনো দলই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। পরে ২০১৮ সালে ৬৪৮ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয় ছাত্রদল। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ জুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দলটি।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিতে তাদের সঙ্গেই ছিল ছাত্রনেতারাঃ

২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপ করা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ওই সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তৎপরতাও লক্ষ করা যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষেধাজ্ঞার কারণে সেসময় তাদের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় টিউশন ফি কমানোর দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। এসব আন্দোলন কর্মসূচিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সত্যি, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দলের ব্যানারে কর্মকাণ্ড চালাতে দেখা যায়নি তাদের।

বেসরকারিতেও পাবলিকের মতো দাদাগিরি শুরু হবেঃ

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সৃষ্ট সংঘর্ষে ছয়জন নিহত এবং ২২০ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাতে তিনজন নিহত এবং ৫২০ জন আহত হয়েছেন।

অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট আইনের অধীন। এ আইনের ১৭ ধারায় বলা আছে, সবার জন্য সমতার বিধান করতে হবে। একই প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থাকলে সবার জন্য সমান অধিকার দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া, অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষুদ্রাকারের, করিডোরগুলোও ছোট। ‘আমার ভাই, তোমার ভাই’ স্লোগান দেওয়ার মতো জায়গা সেখানে নেই। ছাত্ররাজনীতির কারণে এ ক্ষুদ্র জায়গায় সংঘাত হলে জীবনহানির সম্ভাবনা প্রচুর। যে ছাত্ররাজনীতিতে আদর্শবাদ নেই, জীবনহানির শঙ্কা আছে, সেখানে আমাদের অ্যাসোসিয়েশন (বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি) যা বলেছে, তাকেই আমরা সঙ্গত বলে বিবেচনা করছি।

dhakapost

এ শিক্ষাবিদের মতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশ শিক্ষা কার্যক্রম আর ৫০ শতাংশ সহশিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। দুটোর সংমিশ্রণে এত বেশি সময় দিতে হয় যে তাদের রাজনীতি করার অবকাশ থাকে না। সুযোগ দিলেও অনেকে রাজনীতি করতে পারবে না। ক্লাসের পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন যে শিক্ষার্থীদের সারাক্ষণই কোনো না কোনোভাবে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ওপর সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এত বেশি, তাদের হাতে সময়ই থাকে না। এসব কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতি চায় না। তারা না চাইলে আমরা কীভাবে দেব?

মুখ খুলতে নারাজ ইউজিসিঃ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, সচিব, একজন সদস্য ও একজন পরিচালকের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। তবে, কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।

প্রথমে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে কল করা হলে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউজিসি সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে’। এর বাইরে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে তার পরামর্শ, এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন। জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নয়।’

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ