চকরিয়ায় ফের মেয়র হলেন আলমগীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক:
|
একেবারে রক্তপাতহীন কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৮ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়ার পর আজ সোমবার রাতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হলরুমে কেন্দ্রভিত্তিক মেয়র, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিজয়ী এবং বিজিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুল হুদা।
ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৪৯০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৭৬২ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১১৭২৮ ভোট।
এদিকে তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদা বেগম, ফোরকান আরা বেগম ও আঞ্জুমান আরা বেগম।
অপরদিকে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে এম নুরুস শফি, সাইফুল ইসলাম হিমু, ইফতেখারুল ইসলাম হানিফ, জাফর আলম কালু, ফোরকানুল ইসলাম তিতু, আবদুস সালাম, নুরুল আমিন, মুজিবুর রহমান, বেলাল উদ্দিন।
এর আগে সোমবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয় চকরিয়া পৌরসভার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে শতভাগ সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয় প্রশাসন। সকাল আটটার আগে থেকে ১৮টি কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে নারী-পুরুষ ভোটারের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। দীর্ঘদিন পর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ভোটারেরা।
সরজমিন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ভোটারেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর পর মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর পরও ভোটারেরা ভোট দিতে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এ সময় ভোটারেরা অভিযোগ করেছেন, বুথে বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক শ্লথ গতি ছিল। এ কারণে অনেক বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে ভোটারদের। এর পরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে তারা খুশি।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোন ধরণের সংঘাত-সংঘর্ষ বা রক্তপাত ছাড়াই পুরো পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রের ১৩৯টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
নির্বাচনে মেয়র পদে চার প্রার্থী, তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সর্বমোট ৬৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।
রাজনীতি/এসকে
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |