ইসি বিদেশিদের পা চেটে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চায়ঃ মির্জা আব্বাস
নিউজ ডেস্ক:
|
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটা দালাল গোষ্ঠী। বিদেশিদের পা চেটে এরা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে চায়। এ সরকারকেই যখন আমরা মানি না, তখন ইসিকে মানব কেন? বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সুস্থতা কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনার নাকি গণতন্ত্র চায়। এই লোক ভাবতে পারছে না বিশ্বের বুকে তার নামটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতো যদি উনি বলতেন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সঠিকভাবে নির্বাচন করতে না পারলে আমি নির্বাচন করব না। যদি উনি পদত্যাগ করতেন তাহলে ওনার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকত। নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমার প্রশ্ন হলো এই নির্বাচন কমিশন কে? কোত্থেকে এসেছে? অবৈধ, নিশিরাতের ভোট নেওয়া সরকার যাকে নিয়োগ করেন সে কি বৈধ নির্বাচন কমিশন? এই অবৈধ নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। বাপের তালুকদারি পাইছে আরকি! তারা বলল আর হয়ে গেল। আর আমরা বসে আঙ্গুল চুষব? এই অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি ও দেশের জনগণ কোন নির্বাচন মানে না। ইসি, সরকার যেকোনো চেষ্টা করলে সেটাকে প্রতিহত করা হবে। এখন পর্যন্ত যত নির্বাচন কমিশন এসেছে তাদের কোনোটাই ভাল না, এরা কেউ গণতন্ত্র চায় না, বলেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান ইসি আওয়ামী লীগের তোষামোদি করছে। তাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এসব লোকজন লেখাপড়া করে জ্ঞানপাপী হয়ে যাচ্ছে। এরা দেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার ধীরে ধীরে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে লাইসেন্স দিয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতিতে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার হাতেই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। আজ আওয়ামী লীগ তাকেই বন্দি করে রেখেছে। ওনার অপরাধটা কী? উনি অসুস্থ। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। গণতন্ত্র এখন বন্দি। সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ এখন ফুলে ফুঁসে উঠেছে। আমরা তাদের নিয়ে আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন চলমান থাকবে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, চার হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেল, তারা বলছে এই টাকা নাকি কোনো টাকাই না। তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার মামলায় জেল খাটতে হবে কেন? আট হাজার কোটি টাকা যদি কোনো টাকা না হয় তাহলে দুই কোটি টাকা তো কোনো বিষয়ই না। বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগে যারা ব্যবসায়ী আছেন তাদের গাড়িতে বা পকেটে দুই কোটি টাকা এমনিতেই থাকে। অনেক জ্ঞানী লোক আওয়ামী লীগের সাথে আছেন। তারা কেন আছেন? কীভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করা যায় সে বিষয়ে তারা বলে যাচ্ছেন, বুদ্ধি দিচ্ছেন। সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের আগেই ইসিসহ আওয়ামী লীগকে প্রতিহতের কথা বলেন মির্জা আব্বাস। সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাড. নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |