সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন ইমাদ দাবি করেছেন, তার নামের সাথে মিল থাকা ইমাদ নামের অন্য ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একটি ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে চাকরি করছেন। নামের সাথে মিল থাকায় প্রতিপক্ষ ফেসবুক পেজে তার ছবি লাগিয়ে ওই ইমাদের কার্যক্রম তুলে ধরছে। তিনি বা তার পরিবার কোনোদিন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না বা কোনোদিন জড়িত থাকার সম্ভাবনা নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইমাদ।
লিখিত বক্তব্যে ইমাদ জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীক না পেয়ে প্রতিপক্ষ তাকে জামায়াত-শিবির বানানোর চেষ্টা করছে। ২০০৫ সালে এইচএসসি পাস করে ২০০৭ সালে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ চলে যান। ২০১৬ সালে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন কার্যনির্বাহী সদস্য তিনি। দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের ১৮ ভোটের মধ্যে ১১টি ভোট তিনি পান। দল তাকে নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনীত করেছে। কিন্তু নির্বাচন ও মনোনয়নকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ তার ছবি ব্যবহার করে ইকবাল হোসেন ইমাদ নামে ফেসবুক পেজ খুলে। মূলত একই ইউনিয়নের মাওলানা আব্দুন নুরের ছেলে ইকবাল হোসেন ইমাদ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। প্রতিপক্ষ সেই ইকবাল হোসেন ইমাদের বিভিন্ন স্ট্যাটাস স্ক্রীনশর্ট করে তার নামের সাথে জড়িয়ে অপপ্রচার করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমাদ বলেন, আমি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করলে আমার বিরুদ্ধে মামলা থাকত। কিন্তু কোনো মামলা নেই। আমার কিছু আত্মীয় আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার রাজনীতির সাথে জড়িত। এসব সংগঠন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিদেশ ঘুরেছি। কিভাবে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হয় আমার জানা আছে। নির্বাচিত হলে ইউনিয়নকে আধুনিক করতে সময় লাগবে না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত সত্য যাচাই-বাচাই করে উপস্থাপন করার দাবি জানিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ইমাদ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ হাসিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মইন উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমির আলী, শ্রমিকলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল লতিফ, নুর ইসলাম, আব্দুল্লাহ, আইন উল্লাহ, আপ্তাব উদ্দিন, নুর ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়না মিয়া, জমসিদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।