রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আমি ঘর ছাড়ি নাই, ঘর আমাকে ছেড়েছেঃ ফিরোজ রশীদ
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৩৪ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
আমি ঘর ছাড়ি নাই, ঘর আমাকে ছেড়েছেঃ  ফিরোজ রশীদ

ছবি । সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে নিজে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে এই দল (আওয়ামী লীগ) আমার ছাড়তে হতো না। এখানে (জাতীয় পার্টি) আমার আসতে হতো না। আজ ৩৬ বছর একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, আপনি কেন ঘর ছাড়ছেন? বারবার বলি, আমি ঘর ছাড়ি নাই, ঘর আমাকে ছেড়েছে।’

বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পঁচাত্তরের খুনি চক্রান্তকারীদের প্রেতাত্মারা এখনও ক্ষান্ত হয়নি। আজও তারা ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুনরায় রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে এসে ইতিহাসের ঢাকাকে ঘুরিয়ে দিতে- এমন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব চক্রান্ত ব্যর্থ করার শপথ নিয়ে জাতীয় সংসদে সাধারণ প্রস্তাব উঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

আলোচনায় কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে আমাকে ওখানে থাকতে হতো। যদি বঙ্গবন্ধুর পর আমার নেতা শেখ মনিও বেঁচে থাকতেন, আমাকে এখানে আসতে হতো না। এমনকি শেখ কামাল থাকলেও আমাকে এখানে আসতে হতো না। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য।

তিনি বলেন, আজ ৩৬ বছর পর আমাকে বই লিখতে হচ্ছে ঘর আমি ছাড়ি নাই, ঘর আমাকে ছেড়েছে। সেখানে দেখবেন কী কথা আমি লিখে গেছি। প্রত্যেকটা কথা সত্য, কোনো মিথ্যা কথা লিখি নাই। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কেউ আমাদের সায় দেয় নাই। নাম বলে কাউকে ছোট করবো না। আমাদের বলেছিল তোমাদের জীবন নেই।

খন্দকার মোশতাককে হত্যার জন্য বড় পরিকল্পনা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরীর কাছে গেলাম। বললাম সব ঠিক আছে, একজন নেতার তো ইয়ে লাগবে। উনি বললেন এমন কাজ তোমরা করতে যাবে না। হয় নাই। সব যুদ্ধে জেতা যায় না। প্রধানমন্ত্রী যে বলেন এত আওয়ামী লীগ নেতা, সেদিন (১৫ আগস্ট) কাউকে পাওয়া যায় নাই। আমরাও কাউকে পায় নাই। না পেয়ে এখানে (বিরোধী দল) বসে আছি। না হলে ওখানে (সরকারি দল) থাকতাম।

দুর্ভাগ্য এটাই, এখন অনেক কথা শুনতে হয়, মানতে হয় এবং গ্রহণ করতে হয় বলে দাবি করেন ফিরোজ রশীদ।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন উল্লেখ করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, তারপর আমাকে ডেকে বললেন, ‘একটা তদবির আছে, রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, দিতে হবে। কারণ তোর এলাকায় ৭০ শতাংশ হিন্দু, ৩০ শতাংশ মুসলমান। সন্তোষ বাবুকে তুই নিয়ে আয়।’ আমি তাকে নিলাম, সন্তোষ বাবুকে মনোনয়ন দেওয়া হলো। এরপর বঙ্গবন্ধু বললেন ‘তোকে আমি বানাবো। কতবার তোকে এমপি হতে হবে। আমি তো আছি।’ কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো পঁচাত্তর সালে চলেই গেলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ থেকে নির্দেশনা আসলে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা দখলে থাকতো বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য কেউ কিছু বলে নাই বরং আমরা বিভ্রান্ত হলাম। যখন দেখলাম আওয়ামী লীগের বিরাট নেতা খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে দলের অনেক নেতা সরকার গঠন করল। তখন আমরা বিভ্রান্ত হলাম।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ