আমরা অন্যায় করলে শেখ হাসিনার চেষ্টার সুফল আসবে নাঃ আমু
নিউজ ডেস্ক:
|
দলীয় ও কর্মের ব্যর্থতা এবং নেতৃত্বের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে পারলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আগামী এক বছর এসব বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করলেই শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন। আমরা যদি এলাকায় অন্যায় করি, কাজের বিনিময়ে টাকা নেই, তাহলে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার সুফল আসবে না। ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করে এখনই এগিয়ে যেতে হবে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর এলজিইডি মিলনায়তনে এক শোকসভায় এসব কথা বলেন আমির হোসেন আমু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার কার্যক্রমের সুফল ঘরে তুলতে পারছি না। সেটা যদি তুলতে পারি আমাদের নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করতে হবে কেন। অথচ বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন তিনি দেশকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। উনার কাজের প্রশংসা করতে হবে আমাদের। আমরা যদি সেটি পরিবেশিত না করি তাহলে ফলাফল জিরো। উনার জনসেবা ঠিকভাবে পাচ্ছে কি না, ভুলভ্রান্তি হচ্ছে কি না দেখতে হবে। এখানে যদি ভুল হয় ফলাফল ঘরে আনা যাবে না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন জিততে পারে তার বিশ্লেষণ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একেকটি ইউনিয়নে এক হাজার ৫০০ পরিবার ভাতাভোগী। স্বাভাবিকভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুফল আসবে। একেকটি ইউনিয়নে সাড়ে ৪শ আমাদের মানুষ। তবুও ভোটের অভাব হবে কেন? আমরা তো ঘুমিয়ে ভোট পাওয়ার কথা। তবুও কেন এত ভাবনা। এটা যদি বিশ্লেষণ করে সঠিকভাবে এগুতে পারি কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না। প্রয়াত আবু সালেহর স্মৃতিচারণ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৬৭ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলাম। সেসময় তার সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক হয়। তার এক বছর আগে ৬ দফা দিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। তখন ছাত্র সমাজের চট্টগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন আবু সালেহ। তিনি বঙ্গবন্ধুর কট্টরপন্থী সমর্থক ছিলেন। তার মধ্যে আপস বলতে কিছু ছিল না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, এই পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে চলে যেতে হবে। কার কখন ডাক আসবে কেউ জানে না। যখন আপনজন হারাই তখন কষ্ট পাই। সালেহ চাচাকে ছোটকাল থেকেই কাছ থেকে দেখেছি। জেলা আওয়ামী লীগে বাবা ছিলেন সভাপতি, সালেহ চাচা সেক্রেটারি। রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। উনি তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভূমিকা স্মরণ করবো। তিনি আরও বলেন, সাধু সাবধান। ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে। এটার জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিছু কিছু লোক বাইরে থেকে দলের ক্ষতি করতে চাইছে। যারা নতুন এসেছে তাদের পদ দিতে হবে বুঝেশুনে। কমপক্ষে সাত থেকে আট বছর দেখতে হবে। আমাদের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা ঢুকে গেছে। তাদের চিহ্নিত করতে হলে বিএনপি-জামায়াতকে মিছিল করতে দিতে হবে। এসব মিছিলে কারা থাকছে তা দেখেই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রয়াত আবু সালেহর মেয়ে ডা. মেহজাবিন তুলিসহ প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |