৪২ ঘণ্টা পরে ও সুমনের মরদেহ নেয়নি পরিবার
নিউজ ডেস্ক:
|
রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে রুম্মন শেখ সুমনের (২৭) মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের ৪২ ঘণ্টা পার হলেও মরদেহ নেয়নি পরিবার। মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মরদেহ পরিবারের সদস্যদের না নেওয়ার পেছনে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সারাদিন সুমনের স্ত্রী, তার ভাই এবং শ্যালককে ফোন দেওয়া হলেও তারা কেউ (মরদেহ নিতে আসেননি)। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুঠোফোনে নিহতের সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সুমনের স্ত্রী জান্নাত অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছি। এখনো মরদেহ আনা হয়নি। সুমনের স্ত্রী সুস্থ হলে মরদেহ আনতে যাবো। জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে ময়নাতদন্তের পর থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে সুমনের মরদেহ রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিবারে উপযুক্ত অভিভাবক না থাকায় হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। সারাদিন সুমনের স্ত্রী, তার ভাই এবং শ্যালককে ফোন দেওয়া হলেও তারা কেউ আসেননি। তারা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছেন। অজানা কারণে মরদেহ নিতে বিলম্ব করছে উল্লেখ করে ডিসি বলেন, এ বিষয়ে তারা পেছন থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এর আগে চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়ে রুম্মন শেখ সুমন হাতিরঝিল থানা হেফাজতে ছিলেন। থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ বলছে, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে লোহার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুমনকে মারধর করে মারা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, গত ১৫ আগস্ট ইউনিলিভারের পিউরিট কোম্পানি থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলার পর তিনজনকে গ্রেফতার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেফতার তিনজন হলেন- আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন। তারা এখন কারাগারে আছেন। ওই তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদ ও চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রুম্মন শেখকে শনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার বিকেলে রামপুরা মহানগর এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় রুম্মন শেখকে। তার বাসা থেকে তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর অভিযান শেষে রাত ১১টার দিকে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। ডিসি আরও বলেন, শনিবার সকালে রুম্মন শেখকে আদালতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে রুম্মন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে লোহার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এ ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও কনস্টেবল মো. জাকারিয়া।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |