বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২০২১ সালে বজ্রপাতে ৩২৯ জনের মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৬:০৩ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ

২০২১ সালে সারাদেশে বজ্রপাতে অন্তত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবগুলো মৃত্যুই হয়েছে খোলা স্থানে। সরকার তাই বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ববস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
 
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও বুধবার নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করবে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে বছর বজ্রপাতে ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ৩৯১ জন এবং ২০১৮ সালে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে আসে, ১৯৮ জনের মৃত্যু হয় ওই বছর। চলতি বছর সাড়ে নয়মাসেই দেশে বজ্রপাতে অন্তত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

 

তিনি বলেন, চলতি বছর নদী ভাঙ্গনের শিকার ৯ হাজার ৪৪৫ পরিবারকে বাড়ি দেয়া হবে। এ বছর তীব্র বন্যা না হলেও ব্যাপক নদী ভাঙন হয়েছে। নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, ৯ হাজার ৪৪৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের পর মানুষের মাঝে প্রাথমিক জরুরি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য ৬৪ জেলায় ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে, এর অধিকাংশের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
 
বন্যাপ্রবণ ১৯টি জেলার জন্য ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেস্কিউ বোট সরবরাহ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বড় ধরনের দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধারে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ 'ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনওসি) প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।”

 

উল্লেখ্য, গত এক দশকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও জরুরি ভিত্তিতে জানমাল রক্ষার ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হয়েছে অনেক। তাতে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমলেও বজ্রপাত ও বন্যার মত দুর্যোগ শঙ্কা বাড়াচ্ছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ