হোমিওপ্যাথিক নিয়ে গবেষণা বাড়ালে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা
নিউজ ডেস্ক:
|
হোমিওপ্যাথিক নিয়ে গবেষণা বাড়ালে এর গ্রহণযোগ্যতাও আরও বাড়বে। একইসঙ্গে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উন্নয়ন ঘটাতে রোগ নির্ণয়ে ডায়াগনোসিসে জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের ৫০ বছর পূর্তি ও জাতীয় হোমিওপ্যাথিক কনভেনশন-২০২২ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, হোমিওপ্যাথিক একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিচ্ছে। গবেষণা বাড়াতে হবে। হোমিও চিকিৎসকদের ক্লিনিক্যাল, প্রিক্লিনিক্যাল ট্রায়ালবেস, ল্যাববেস এবং সাইন্টিফিক অ্যানালাইসিস যখন থাকবে তখন এই চিকিৎসা ধারার গ্রহণযোগ্যতা সমাজে আরও বাড়বে। উপাচার্য বলেন, আশির দশকে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। চিকিৎসকদের তৎপরতা, গবেষণা ও অধ্যয়ন অব্যাহত থাকলে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ তৈরি হবে। আমি আশা করব, আপনারা হ্যানিম্যানের এই চিকিৎসা ধারাটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা অন্য কোনো ওষুধ কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা-বিতর্কে যাবেন না। হোমিও একটি স্বতন্ত্র ধারা। আপনারা প্রতিযোগিতা করবেন নিজের সঙ্গে যে কতটা আধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা পৌঁছাতে পেরেছি। কতজন রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রোগীর কথা শুনে ওষুধ দিয়ে বিদায় করা ঠিক নয়। কেস স্টাডি লিখে রাখতে হবে। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নামও লিখে রাখতে হবে। যেন পরে অন্য কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি সহজেই রোগী সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করতে পারেন। নতুন ও পুরোনো মেডিসিন নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। এসব বিষয়ে মনোযোগী হলে হোমিওপ্যাথিক যে জীবন্ত বিদ্যা সেটি কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে পারব। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের সভাপতি ডা. শেখ ফারুক এলাহি। সঞ্চালনা করেন পরিষদের সহ সভাপতি ডা. মো. নজরুল ইসলাম খান। স্বঠসু বক্তব্য রাখেন পরিষদের মহাসচিব ডা. অঞ্জন কুমার দাস।
নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |