হাসপাতালের ছাদে মিললো ২ শতাধিক লাশ!
নিউজ ডেস্ক:
|
সম্প্রতি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শহরের নিশতার হাসপাতালের ছাদ থেকে শত শত পচাগলা মরদেহের খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে হতবাক পুরো পাকিস্তানের মানুষ। সম্প্রতি জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহী। এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি পাকিস্থানে। পাকিস্থানের একাধিক স্থানীয় গনমাধ্যম জানায়, ইতিমধ্যে ছাদের মরদেহের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে ২০০ মরদেহ, আবার কেউ বলছেন ৫০০ দেখা গেছে।ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী এ ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ওপ্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা সচিবের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চেয়েছেনতিনি বলেন, হাসপাতালের ছাদে মরদেহ ফেলে রাখা অমানবিক কাজ। এ ঘটনায় দায়ী স্টাফদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ঐ ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর এ নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়। এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন নিশতার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।গত ১৩ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্টকে এ বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।টুইটারে নিশতার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মারিয়াম আশরাফের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রাক্তন ফেডারেল মন্ত্রী মুনিস এলাহি। অজ্ঞাত মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে এমবিবিএস ছাত্রদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে সেগুলো ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অধ্যাপক ডা. মারিয়াম আশরাফ একটি ভিডিওতে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। অজ্ঞাত ও বেওয়ারিশ মরদেহগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হয় সে বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করেছেন।তিনি জানান, হাসপাতালের মর্গে মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। যখন মরদেহগুলোর পচন শুরু হয় তখন সেগুলো মর্গের ছাদে বাতাসযুক্ত স্থানে রাখা হয়।৫০০ মরদেহের তথ্য অস্বীকার করে তিনি বলেন, চিকিৎসা পেশায় থাকা লোকজন এ পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মরদেহের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |