স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
নিউজ ডেস্ক:
|
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে দুদকের উধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যে কোনো সময় এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
এর আগে, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তবে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করা ও স্বাস্থ্য খাতের অরাজকতায় চাপের মুখে পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম সে সময় আসামির তালিকায় ছিল না।
সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে কেন আসামি করা হয়নি- এই প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছেন তাদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, মামলা তদন্তে যদি আরো কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাদেরকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ও সংশ্নিষ্ট ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবার খরচ বাবদ ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারের ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার পাঁচশ’ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করার সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বিতর্কিত হয়েছেন সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন। অথচ প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারক সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। পরে ওই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিররোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
রাজনীতি/জেকে
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |