শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সারাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কাজ চলছেঃ মোস্তাফা জব্বার
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৫১ দুপুর | অনলাইন সংস্করণ
সারাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে কাজ চলছেঃ  মোস্তাফা জব্বার

ছবি । সংগৃহীত

দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, হাওর, দ্বীপ, দুর্গম চরাঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

ইন্টারনেটকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক উপকরণ হিসেবে বর্ণনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ বিশেষ করে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর অনেকেই ইন্টারনেটকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অতীতের তিনিটি শিল্প বিপ্লবে শরীক না হওয়ায় আমাদের সমাজের রূপান্তরের ভিত্তি ছিল কৃষি।

তিনি বলেন, শতশত বছরের পশ্চাৎপদতা দূর করতে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও আইটিইউর সদস্যপদ অর্জন এবং টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠনসহ বৈপ্লবিক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে আজ মহিরুহে রূপান্তর লাভ করেছে। এ সময় মন্ত্রী দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ডিজিটাল অবকাঠামো পৌছে দিতে, পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়া ডিজিটাইজ করাসহ দেশের অনগ্রসর অঞ্চলে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বৈষম্য দূর করার অর্থ আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি ডিজিটাল বৈষম্যও দূর করতে হবে। আমাদের মানুষ অনেক মেধাবী, তারা কাজ করতে পারে। তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের রূপান্তরে তারা অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।

মানুষের সেবায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ বছরের পথ নকশা তৈরি করে আপনাদের সামনে এগোতে হবে। গত ২০ বছরের মতো আগামী ২০ বছর হবে না। আগামী ২০ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর আপনাদের গুরুত্বারোপ করতেই হবে। এখন সময় হয়েছে কাপড় সেলাইয়ের কাজ শেখার দক্ষতার সঙ্গে ই-কমার্স কেমন করে করতে হয়, কেমন করে ঘরে বসে শাড়ি-গয়না বা রান্না করা খাবার ইন্টারনেটে বিক্রি করতে হয় তা মেয়েদেরকে শেখানো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এতে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চের নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ