সাফজয়ী আঁখির বাবাকে শাসিয়ে গেল পুলিশ!
নিউজ ডেস্ক:
|
আঁখিদের ঘিরে যখন গোটা দেশ মেতেছে উৎসবে ঠিক তখনই দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে সাফ জয়ী নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনকে। সরকার থেকে পাওয়া জমি নিয়ে তার বাবাকে শাসিয়ে গেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা পুলিশের এএসআই মামুন। এমন অভিযোগ করেছেন আঁখি ও তার বাবা। কাগজে সই করতে রাজি না হওয়ায় আঁখির বাবাকে থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঁখির বড় ভাই নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ডিফেন্ডার আঁখি বলেন, আমার বাবাকে থানা থেকে ধমকিয়েছে একটা পেপার নিয়ে। বলেছে সই করতে হবে। আমার বাবা সই করেননি। তাই আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবে বলেছে। আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে আমি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকেও। আঁখির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাদী বা আসামি কোনোটাই না। আমি পুলিশকে বলেছি আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। তখন আমাকে কটূক্তি করেছে তারা। আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে। আঁখির বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার বিকালে শাহজাদপুর থানা থেকে এএসআই মামুনসহ একটি টিম এসে আমার বাবাকে বলেন, সরকার থেকে আঁখিকে যে জায়গাটা দেওয়া হয়েছে, কোর্ট থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আপনারা এখান থেকে চলে যান। তা না হলে থানায় ধরে নিয়ে যাবো। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, আঁখিদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোর্ট থেকে একটা নোটিশ এসেছিল। সেই নোটিশে কপিটা এএসআই মামুন আঁখির বাবাকে দিতে গিয়েছিল এবং রিসিভ করে একটা সই দিতে বললে সেখানে আঁখির বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি আমি শোনার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআই মামুনকে দিয়ে সরি বলানো হয়েছে। উল্লেখ, ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেই আসরে সেরা খেলোয়াড় আঁখি খাতুন পান গোল্ডেন বুট। এরপরই ফুটবল কন্যা আঁখি খাতুনকে বাড়ি করার জন্য জমি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভায় সরকারি কলেজ সংলগ্ন মনিরামপুরে উপজেলা প্রশাসন আঁখিকে আট শতক জায়গা বরাদ্দ দেয়। তবে দীর্ঘদিন এই খাস জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে রাখেন শাহজাদপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন আকন্দ। পরে উপজেলা প্রশাসন জমিটি দখলমুক্ত করে ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দিলে রবিন আকন্দ মামলা করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |