রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

সব জেলায় হচ্ছে বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:১৮ রাত | অনলাইন সংস্করণ
সব জেলায় হচ্ছে বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রঃ  স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি । সংগৃহীত

পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এখন ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র (চালু) হচ্ছে। এরপরও ১৪ জেলা বাদ থাকবে। সেসব জেলা হাসপাতালে শিগগির কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিল্টন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ৩০ জন নবজাতক মারা যাচ্ছে। এসডিজি অর্জনে সেটা ১২ জনে নামাতে হবে। প্রতিদিন আমাদের দেশে ২৫০ শিশু মারা যায়। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশেই নবজাতক মৃত্যুর হার আমাদের থেকে অনেক কম। মালদ্বীপে দুইজন মারা যায়, সিঙ্গাপুরে দুইজন। এমনকি আমেরিকায় ৫ জন মারা যায়। যদিও আমাদের এ মৃত্যুর হার আগের থেকে কমেছে। আমরা যদি সবাই মিলে কাজ করি এই হার আরও কমিয়ে আনতে পারবো।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অনেক সুনাম। করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ পারে চেষ্টা করলে। অনেক সমালোচনা হয়েছে, কিন্তু আমরা কাজ করে গেছি। সমালোচনা আমাদের থামিয়ে রাখতে পারেনি।

health-2

জাহিদ মালেক বলেন, অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের চিকিৎসার ওপরে আস্থা কম। সব বিদেশে যায়। কোভিডের সময় কেউ বিদেশ যেতে পারেনি। সব চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়েছে, চিকিৎসরা দিয়েছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা পারেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলম বলেন, ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন একটি মাইলফলক। এ উদ্যোগ আমাদের স্বাস্থ্যখাতের এসডিজি পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, সারাদেশে ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র হচ্ছে। এর মধ্যে ৬০টি বেশি চালু হয়ে গেছে। শিগগির বাকিগুলো হবে। এসব কেন্দ্র শিশুদের বহুমুখী সেবা দেবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ