শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইভিএম ব্যবহারঃ ইসি আলমগীর
নিউজ ডেস্ক:
|
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। ইসি আলমগীর বলেন, ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। এখানে ওভাররাইটের বিষয়ও নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। তার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়। অথচ টক শো'তে বলা হচ্ছে ওভাররাইট করা যায়। সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, ইভিএমের প্রতি ভোটারদের বিশ্বাস আছে। কোথাও দেখেছেন এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে, মিছিল করতে? যারা লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইভিএমটা আসলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছি। আমরা পারলে ৩০০ আসনেই করতাম। ওই তো বললাম টাকা নেই। আবার ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারব না। আমরা যদি আরও দুই বছর আগে দায়িত্বে আসতাম তাহলে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহার করতাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট সুষ্ঠু নির্বাচন করা। ইভিএমে ছিনতাই, জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই ওখানে যাবে না। যাবে ওইখানে, যেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। আমরা এ যেসব কেন্দ্রে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে সেসব কেন্দ্রে ফোর্স বেশি মোতায়েন করব। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তো কথা বলতে পারি না। একটি বড় দল, তার সঙ্গে আরও চারটি দল সরাসরি ইভিএম চেয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে আরও সবমিলিয়ে ১৭টি দল চাচ্ছে। তবু বলা হচ্ছে ইভিএম নিয়ে মতামত পাল্টে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা লিখলেন তারা কি প্রমাণ করতে পেরেছেন? নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ইভিএমে প্রাথমিক ব্যয় বেশি। একটা ব্যালট ছাপাতে হয়, ক্যারি করতে হয়, প্রচুর খরচ আছে। ইভিএমে একবার খরচ হয়। এরপর এটা কিন্তু আমরা নানা নির্বাচনে ব্যবহার করি। ওই মামলা করার জন্য যে সময় থাকে, ওই সময় পর্যন্ত আমরা ওই ইভিএমটা রেখে দিই। সেই সময় শেষ হলেই কেবল আরেকটা নির্বাচনে ওই ইভিএমটা ব্যবহার করি। ইভিএমে লাইফ টাইম ২০ বছর পর্যন্ত আছে। এটা তো কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবহার করছি। এ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে প্রায় এক হাজার ইভিএম ব্যবহার করেছি। এই কমিশন আসার পর একটা নির্বাচনও ব্যালটে করিনি। ইভিএম নিয়ে দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, ১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। হয়ত দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল আছে। তবে তাদেরও অন্তরে বিশ্বাস আছে, মুখে নেই। কারণ অনেক দলই বিপক্ষে কথা বলছে, কিন্তু আমাদের কাছে এসে পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন সংসদ সদস্য আমাদের কাছে এসে লিখিত আবেদন করেছেন তার এলাকায় ইভিএম দেওয়া জন্য। কাজেই এটা অন্তরে আছে, তারা ইভিএম বিশ্বাস করেন।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |