মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়ন করবে ইমিগ্রেশন
নিউজ ডেস্ক:
|
মালয়েশিয়ায় ঝুলে থাকা অভিবাসী কর্মীদের মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়ন করবে ইমিগ্রেশন। দেশটির অভিবাসন বিভাগ ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে প্রায় ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েক ধাপে লকডাউনে ছিল। এ সময়ে লাখ লাখ প্রবাসী শ্রমিক তাদের কর্ম হারিয়েছেন।
পাশাপাশি লকডাউন চলাকালীন ইমিগ্রেশন বিভাগের যাবতীয় কর্মকাণ্ডে ছিল স্লথ গতি। তখন প্রবাসীরা তাদের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে পারেনি। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েন লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক।
একটি মহল গুজব রটিয়েছে রি-হায়ারিং ৬ নম্বর ভিসা আর নবায়ন হবে না। বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে নজরে আসার পর (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাযাইমি দাউদ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, রি-হায়ারিং প্রকল্পের ভিসার মেয়াদ যাদের লকডাউন চলাকালীন শেষ হয়ে গেছে তাদের ভিসা নবায়নের ব্যাপারে কাজ করছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েই সব অভিবাসীদের ভিসা নবায়ন করা হবে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন নিয়োগকর্তার মাধ্যমে অভিবাসীরা পাসপোর্ট ও লেভী ইমিগ্রেশনে জমা দিয়ে একটি স্পেশাল পাস নেওয়ার জন্য।
তবে এ ভিসা নবায়ন যারা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন তাদের জন্য এ নির্দেশনা। যারা ছুটিতে নিজ নিজ দেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ভিসা কখন এবং কীভাবে নবায়ন করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি।
তবে কিছু দিন আগে বলা হয়েছিল, যারা ছুটিতে আছেন তারা নিজ নিজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাই ট্রাভেল পাসের (এমটিপি) মাধ্যমে আবেদন করার জন্য।
এদিকে নতুন করে চলমান শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া রিক্যালিব্রেশনের কার্যক্রম দ্রুত ও বেগবান করার কথা বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা রেজিস্ট্রেশন শেষ করেছেন তাদের পরবর্তী ধাপগুলো দ্রুত শেষ করার কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যেমন নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বৈধপ্রার্থীদের ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ইমিগ্রেশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তার অফিসেই ফিঙ্গার প্রিন্ট করতে পারবেন। নতুন করে বৈধ হতে রিক্যালিব্রেশনের আওতায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮ জন অভিবাসী আবেদন করেছেন। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রাজনীতি/কেএম
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |