মামলাগুলো রায়ের পর সু চি বাড়ি ফিরতে পারেন: জান্তা প্রধান
নিউজ ডেস্ক:
|
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে গত জুনে রাজধানী নিপিধোর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিং অং হ্লায়িং বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে জেল থেকে গৃহবন্দিত্বে নিতে দেওয়ার কথা তিনি বিবেচনা করবেন। তবে সু চির বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মামলাগুলোর রায়ের পরই কেবল সেটি করবেন তিনি। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপরই নোবেল জয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি ও দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত জুনে সু চিকে রাজধানী নিপিধোর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এর আগে সু চিকে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্তত ১৮ টি অভিযোগে করা মামলায় সু চির এরই মধ্যে কয়েকবছরের জেল হয়েছে। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ উদ্ভট বলে অস্বীকার করেছেন। জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ সপ্তাহে মিয়ানমার সফরের সময় সু চিকে জেল থেকে বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার লিখিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানান জান্তা প্রধান হ্লায়িং। বিবৃতিটি টিভিতে পড়ে শোনানো হয়। এতে বলা হয়েছে, “আমি বিষয়টি বিবেচনা করব… রায় হয়ে যাওয়ার পর। আমরা তার (সু চি) ওপর শক্ত কোনও অভিযোগ আনিনি। তাকে দয়াও দেখিয়েছি, যদিও আমরা চাইলে আরও অনেককিছুই করতে পারতাম।” মিয়ানমারে কয়েক দশকের সেনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর সু চিকে প্রথম গৃহবন্দি করা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। ৭৭ বছর বয়সী গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চি গত তিন দশকের প্রায় অর্ধেক সময়ই গৃহবন্দিত্বে কাটিয়েছেন। ২০১০ সালে তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। নিউজ ডেস্ক| দৈনিক আজবাংলা |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |