মানবিক সহায়তার মাধ্যমে অপরাধ নির্মূলে কাজ করছে র্যাবঃ ডিজি
নিউজ ডেস্ক:
|
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে র্যাব শুধু অভিযানেই সীমাবদ্ধ নয়, অপরাধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী পন্থায় বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।বৃহস্পতিবার(১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে র্যাব। র্যাব প্রধান বলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩৬ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সেলাই, ড্রাইভিং, টুরিস্ট গাইড, ফটোগ্রাফি, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং সার্ফিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময় প্রশিক্ষণার্থীদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে অনেককে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপকরণও দেওয়া হবে। আমি আশা করি, এখানে যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিজে বিরত থাকবেন এবং অন্যান্যদেরও বিরত রাখবেন। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অপরাধ প্রবণ লোকদের চিহ্নিত করে নবজাগরণ কর্মসূচির আওতায় সুন্দর জীবন গঠনের পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে অপরাধে জড়াতে নিরুৎসাহিত করা। আর এটা কার্যকর করে সমাজে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। নবজাগরণের মাধ্যমে সামাজিক, পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক অন্তরায় সৃষ্টি করে এলাকাভিত্তিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেন সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অপরাধে না জড়ায়। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র গ্রেপ্তারের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ নির্মূল নয় বরং আত্মসমর্পণের সুযোগ প্রদান করা এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট জঙ্গিদের সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করছে র্যাব। ইতোমধ্যে ‘নবদিগন্তের পথে’ শীর্ষক র্যাবের ডি-রেডিক্যালাইজেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ১৬ জন বিপথগামী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে সাধারণ জীবনে ফিরে এসেছে। র্যাবের অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে র্যাব প্রধান বলেন, র্যাবের অন্যতম একটি সফলতা সুন্দরবন দস্যু মুক্ত করা। যেখানে আত্মসমর্পণ করে ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রত্যেককে নগদ আর্থিক সহায়তা, র্যাবের পক্ষ থেকে আর্থিক, বর্ষপূর্তিতে সহায়তা ও বিভিন্ন উৎসবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, র্যাব যেভাবে পূর্ববর্তী সময়ে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তেমনিভাবে ভবিষ্যতেও সেই ধারা অব্যাহত রেখে অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধের লক্ষে সমগ্র দেশব্যাপী আরও অধিকতর কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে র্যাব জল, স্থল ও আকাশে অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। স্বাবলম্বী করতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |