ভুয়া ওসি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক:
|
সুনামগঞ্জের ছাতক থানা ও জেলা ডিবির ওসি পরিচয় দিয়ে কয়েক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্নএলাকায় প্রতারনা করার আসছে একটি প্রতারক চক্ররা। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া ওসি ও ডিবির পরিচয়কারি সন্ধানে ছাতক থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও সদর উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমন মিয়া (৩৩)একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর আকন্দপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সুমন মিয়া। তাকে গ্রেপ্তারের পর ও বেরিয়ে এসেছে প্রতারনার চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য। বুধবার সকালে তাকে থানা থেকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। জানা যায়, আটককৃত আসামীকে থানার হাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাতকও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার কয়েক শতাধিক মানুষ এ চত্রেুর প্রতারনার শিকার হয়েছেন। এচক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন ছাতকে বিউটি বেগম। আসামী থানা হাজতে রাখা হয়। এসময় মামলার প্রধান আসামীর স্ত্রী বিউটি বেগমের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বারে ফোন দিয়েছেন ভুয়া ওসি সুমন। থানা থেকে আসামী ছেড়ে নিতে চাইলে বিকাশের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত নম্বারে এক লাখ টাকা প্রদান করলে তার স্বামী আব্দুর রউফকে থানার হাজতে থেকে পুলিশ ছেড়ে দেয়া হবে। আসামীর স্ত্রী বিউটি বেগম ভুয়া ওসির মোবাইল নম্বারে বিকাশের মাধ্যমে লাখ টাকা পাঠানোর পর পরই ভুয়া ওসির মোবাইল ফোন বন্ধ মিলছে । এ ঘটনায় নিয়ে বতমান থানার ওসি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ গনমাধ্যমেই ফেইস বুকে ব্যাপক লেখালেখি শুরু হয়। ভুয়া ওসি ডিবির ওসি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার প্রথম টাগেট হচ্ছে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ঘনিষ্ঠ হন। এরপর তাদের কাছ থেকে আদায় করতেন লাখ লাখ টাকা। ভুয়া ওসি সুমনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে সারাদেশে। প্রতারিত হচ্ছেন,ছাতক,দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, জগন্নাথপুর, সিলেটের বিশ্বনাথসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নারীদের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারনা করেছেন এ প্রতারক। এছাড়া, জমি ও ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান,থানার হাজতে থেকে আসীমদের ছেড়ে দেয়া কথা বলে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন তিনি। ভুয়া ওসি ডিবির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনতেন ওই প্রতারক। গ্রামে সহজ সরল মানুষকে মামলা ফাদে ফেলে তাদের কাছ থেকে প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এব্যাপারে ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ভুয়া ওসি ও ডিবির পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি মাদক কারবারিদের ধরা নামে ভয় দেখিয়ে মাসোহারা টাকা আদায়ের কথাও স্বীকার করেছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |