বোর্ডিং ব্যবসার আড়ালে মাদক ও জুয়ার আসর
নিউজ ডেস্ক:
|
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যৌনপল্লীকে কেন্দ্র করে উপজেলার দৌলতদিয়া বাজার ও পাশের রেলস্টশন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক আবাসিক বোর্ডিং। সেখানে অধিকাংশ বোর্ডিংয়ের কক্ষের ভেতরে মাদক ও জুয়া খেলার নিয়মিত আসর বসছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সায়মুদ্দিন নামের একটি বোর্ডিংয়ের ভেতরে বসানো জুয়ার আসর থেকে নগদ টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ চার জুয়ারিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জুলহাস খাঁ, রিপন শেখ, হবি ফকির ও হাসেম মৃধা। তাদের বাড়ি গোয়ালন্দ ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী। বর্তমান সেখানে প্রায় তিন হাজার যৌনকর্মীর বসবাস। ওই পল্লীর পাশেই দৌলতদিয়া রেলস্টেশন। পতিতাপল্লীকে কেন্দ্র করে রেলওয়ের জায়গা দখল করে সেখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক আবাসিক বোর্ডিং। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যৌনপল্লীর অনেক খদ্দের কক্ষ ভাড়া নিয়ে বোর্ডিংগুলোতে বিশ্রাম ও রাতযাপন করেন। কিন্তু প্রশাসনিক নজরদারি না থাকার সুযোগে অনেক বোডিংয়ের কক্ষের ভিতরে মাদকসেবন ও জুয়া খেলার নিয়মিত আসর বসছে। তাই, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন আবাসিক বোর্ডিংগুলোতে মাদকসেবী ও জুয়ারিদের জমজমাট ভির লেগেই থাকছে। সেখানে বোর্ডিং ব্যবসার অন্তরালে মাদক ও জুয়ার আসর বসানোর পাশাপাশি আসরে থাকা মাদকসেবীদের মাঝে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট বোর্ডিং মালিকেরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালায় গোয়ালন্দ ঘাট থানাপুলিশ। এ সময় সায়মুদ্দিন বোডিংয়ের ১৭নম্বর কক্ষের ভিতরে বসানো জুয়ার আসর থেকে নগদ টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ জুলহাস খাঁ (৫০), রিপন শেখ (৩৩), হবি ফকির (৩৯) ও হাসেম মৃধা (৩৩) নামের চার জুয়ারিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বাড়ি গোয়ালন্দ ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানা এলাকায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে থানাপুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |