বৈশ্বিক মন্দার হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে দেশে দেশে বাজেট সহায়তা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদ এ কথা বলেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে মন্দা চলছে। এজন্য বিশ্বব্যাংকের সদস্য দেশগুলোকে আরও বাজেট সহায়তা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষের কল্যাণ হয়, এমন প্রকল্পে সরকারি অর্থ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

জুনায়েদ কামাল আহমেদ আরও বলেন, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ২০২৩ সালে আরও সংকট সৃষ্টি হবে। ২০২৩ সালে বিশ্ব জিডিপি কমে ২ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমলেও এখনো স্বস্তিতে আছে বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্ব অর্থনীতির এমন অবস্থায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির প্রশ্নে এখনো স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। তবে তা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী হতে হবে বলেও জানান তিনি।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে ওলিভিয়ার গৌরিংচাস জানান, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২০২১ সালের ৬ শতাংশ থেকে কমে এবার ৩ দশমিক ২ শতাংশ হবে। ২০২৩ সাল হবে আরও কঠিন হবে। ধারাবাহিকভাবে কমে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশে। এছাড়া, করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য।

তিনি বলেন, আমাদের হিসাব বলছে ২০২২ সালে সারাবিশ্বে জীবন যাত্রার খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৬ ঘরের আসলেও এ সময় উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমবে। তার প্রভাবে চাপে থাকবে পুরো পৃথিবীর অর্থনীতি।

আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আইএমএফ মনে করে, গেল বছরের তুলনায় এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে অর্ধেকে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্যেও খুব বেশি সুখকর নয়। সংস্থাটি বলছে ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে প্রায় ৯ শতাংশে।

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা