শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিমান সবসময় লাভের মধ্যে ছিলঃ বিমান প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৩২ বিকাল | অনলাইন সংস্করণ
বিমান সবসময় লাভের মধ্যে ছিলঃ  বিমান প্রতিমন্ত্রী

ছবি । সংগৃহীত

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগেও লাভের মধ্যে ছিল, এখনো আছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপের উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের লোকজন সরকারি বেতন পায় বলে অনেক ধারণা আছে। আমাদের মন্ত্রণালয় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের তুলনায় স্বতন্ত্র। আমাদের অধিনস্ত অধিদপ্তরগুলোও নিজেদের মতো চলতে হয়। এখানে সরকার থেকে কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় না। বিমান যদি আয় করতে না পারে তাহলা তারা বেতন পাবে না। অন্যান্য অধিদপ্তরগুলোও একই রকমভাবে চলতে হয়। করোনায় আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটা বন্ধ ছিল, তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার। বিমান সবসময়ই লাভের মধ্যেই ছিল।

তিনি বলেন, করোনার সময় সরকার এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছিল, সেখান থেকে আমরা ৭৮১ কোটি টাকা খরচ করেছি। আমরা এখনো বিমান লাভের মধ্যে আছি। বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল, তেলের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে টরেন্টো ফ্লাইটে ভালো সাড়া পেয়েছি, আমরা পুরোপুরি যাত্রী পেয়েছিলাম। আমরা চাই বিমান সঠিকভাবে চলুক। কেউ অনিয়ম করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন বিমান যথাসময়ে ফ্লাইটগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।

মাহবুব আলী বলেন, এয়ারপোর্টে যাতে কোন যাত্রী হয়রানি হয়, সেদিক সতর্ক থাকতে বলেছি। অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে আবার যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছি। সবাই যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সেটি মনিটরিং করা হয়। বিমানের এমডি প্রতিদিনই এয়ারপোর্টে যান, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে অনেক সময় মনিটরিং করেন। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন যাত্রীদের যেন ভালো সার্ভিস দেওয়া হয়, সেদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ২০২৩ এর অক্টোবরে নবনির্মিত থার্ড টার্মিনাল থেকে বিমান চলাচল করতে পারবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে আরও নান্দনিক করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৈয়দপুরে নান্দনিক টার্মিনাল নির্মাণ হয়েছে। যশোরের টার্মিনালকে আধুনিক টার্মিনাল করা হয়েছে। বরিশাল বিমানবন্দরের কাজও আমরা হাতে নেবো। আমাদের বিমান বন্দরের কাঙ্ক্ষিত সেবা হয়তো দিতে পারিনি, তবে চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা কার্গো সেবা সম্প্রসারণের জন্য সিলেটে কার্গো ভিলেজ করেছি, চট্টগ্রামেও সেটি করার উদ্যোগ নিয়েছি। কার্গো নিয়ে এখন তেমন সমস্যা হয় না। আন্তর্জাতিক মান রেখে বিমান যাতে সেবা দিতে পারে সেদিকে নজর রেখে আমরা কাজ করছি।

পর্যটন করপোরেশন নিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন করপোরেশনকে কেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারিনি সেই প্রশ্নটি বার বার আসে। আমরা চাই বিদেশি বিনিয়োগও আসুক। করোনায় পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ছিল, পরে সেটি খুলে দেওয়ার পর প্রথম মাসে ১ কোটি টাকা লাভ করেছি, দ্বিতীয় মাসে ২ কোটি টাকা লাভ করেছি। আমরা একটা সুফল আনতে চাই।

এসময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. বাহরাম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন রাকিব উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ