বিপিএইচসিডিওএ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া
নিউজ ডেস্ক:
|
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার গ্রীণ লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিপিএইচসিডিওএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। প্রধান অতিথি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, "এই মাস আমাদের বেদনার মাস। এই মাসেই বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে হত্যা করা হয়। আমাদেরকে এইসব ইতিহাস জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষ আমরা পেয়েছিলাম বিধায় আজকে আমাদের বাংলাদেশ। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন। তিনি আরো বলেন, বিরোধীদল নির্বাচন আসলেই আবল তাবল বলতে শুরু করে। তাই আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। যে জাতি তার সঠিক ইতিহাস জানে না সেই জাতি তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। আমাদের মেধা আছে তাই আমাদের উচিত সঠিক ইতিহাস জেনে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর একটি কথা যত দিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নামেন, তখন তাকে বিশ্রামের জন্য বিমানবন্দরের পাশে একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মীদের বঙ্গবন্ধু বলেন, “বৃটিশরা আমাদের ২০০ বছর শোষণ করেছে, তবে এবার থেকে বাংলাদেশ চিরদিন মাথা উঁচু করে চলবে"। বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, "ইতিহাস ঘাটলে এখন স্পষ্ট যে বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি ছিল খুনি জিয়া, মোস্তাকরা। ১৯৭১ সাল থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশটিকে সল্প উন্নয়নের দেশে তৈরি করেছিলেন তিনি। আমাদের এইসব ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে"। সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, "একাত্তরের পরাজিতো শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। তাই আমি কবিতার ভাষায় বলতে চাই “ আমি দেখেছি আমার বাংলাকে, দেখেছি বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টাকে, দেখেছি বাংলার স্বাধীনতা, দেখেছি স্বাধীনতার জনক জাতির পিতা বাংলাকে যিনি দিয়ে গেছেন গৌরবের বারতা। আমরা বাঙালি বঙ্গবন্ধুর সন্তান, তিনি মহান, তাই হৃদয়জুড়ে তার স্থান"। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বৃন্দ, চিকিৎসকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং শ্রদ্ধা চিত্তে সকলকে স্মরণ করা হয়।
নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |