রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিদেশি বিনিয়োগ আসছে জায়গা দিতে পারছি নাঃ নৌ প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৪৬ রাত | অনলাইন সংস্করণ
বিদেশি বিনিয়োগ আসছে জায়গা দিতে পারছি নাঃ নৌ প্রতিমন্ত্রী

ছবি । সংগৃহীত

বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতির দরজা খুলে দিয়েছে। দেশে এখন বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আসছে, জায়গা দিতে পারছি না বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি, কয়েকদিন আগের আমেরিকা গিয়েছি, সেখানকার ৩৮টি কোম্পানি আমাদের দেশের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে দৈনিক ইত্তেফাকের আয়োজনে ‘দেশীয় বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য দেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) করা হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিকায় করা হয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হয়েছে। মৃতপ্রায় মোংলার পর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর করা হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় থাকা সামিট গ্রুপের কর্ণধার মুহাম্মদ আজিজ খানের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাদের দেশপ্রেম আছে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। তারা দেশের বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নেবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে সবাইকে একসাথে কাজ করার এবং এটা শুরু হয়েছে। এখন ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা থাকে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত নৌপথ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছি। আমরা স্ট্যাডি করছি পদ্মা নদীর শিমুলিয়া ঘাটের পাশে একটা কন্টেইনার টার্মিনাল করা যায় কিনা।

নৌপথের গুরুত্ব উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি নৌপথ তৈরি না করি তাহলে ছয় লেন বলেন, ডাবল রেললাইন বলেন যা-ই বলেন না কেন সব জ্যাম লেগে যাবে। একটা ট্রাকে একটা কন্টেইনার আসে, কিন্তু একটা জাহাজে দুই থেকে তিনশ কন্টেইনার আসে। সুতরাং নৌপথ দিয়ে কন্টেইনার নিয়ে আসার কথা ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, দেশপ্রেমের দায়িত্ব শুধু সরকারের না।দেশপ্রেম দেশের সব মানুষের। বিশেষ করে যারা অর্থনীতিতে কাজ করে তাদেরকে এটা নিয়ে বেশি সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশীয় বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০০৮ সালের পর ৪২টা জাহাজ বানানো হয়েছে। এক একটা জাহাজ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করে বানিয়েছে দেশীয় মালিকরা। তারাই এই ব্যবসাগুলো করছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু দুর্বলতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দুর্বলতা রয়েছে। এগুলো আমরা দূর করতে চাই। এখানে আরও বেশি সেবা দিতে চাই।

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কিন্তু দরজা খুলে দিয়েছি। সমুদ্রে যেমন আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সীমনা নির্ধারণ হয়েছে তেমনি আমরা অর্থনীতির দরজাও খুলে দিয়েছি। সেখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই দেশি বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আসুক।

গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং এডিটর ইন চীফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও পোর্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অঞ্জন শেখর দাশ, এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আলী শিমুল, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রদান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ও কমালপুর আইসিডির ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজের আহমেদুল করমি চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

নিউজ ডেস্ক | দৈনিক আজবাংলা

 

« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ