বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
|
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট ভবন ‘বিজয়-৭১’এর উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। রাজনীতিতে জিয়া খুনিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেন। পরবর্তীতে তা চালিয়ে যান খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমরা যারা আপনজন হারিয়েছিলাম, আমাদের কোনো অধিকার ছিল না বিচার চাওয়ার। এমনকি আমি বাংলাদেশে ফিরে এসে মামলা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মামলা করতে দেয়া হয়নি। কারণ ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে খুনিদের। বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি দেশে চালু করা হয়েছিল। সেটা একমাত্র পরিবর্তন করতে পেরেছি যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসলাম তখন। সেখানে অনেক বাধা অনেক কিছুই আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু আমি ধন্যবাদ জানাই বিচারকের সাহসী পদক্ষেপের জন্য।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা বিচারহীনতার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে পেয়েছি।’ বিচার বিভাগের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যবস্থা আমরা নেব। এ বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ নিতে হবে। কারিকুলাম কি হবে, সেটা ঠিক করতে হবে।’ আইন ও বিচার বিভাগে সরকারের নানা উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে ১৮ হাজার ১৩৪ বর্গমিটার জায়গায় নির্মিত হয়েছে ১২ তলা ‘বিজয়-৭১ ভবন।’ ভবনটিতে বিচারপতিদের জন্য ৫৬টি চেম্বার, ৩২টি এজলাস কক্ষ (কোর্ট রুম), আলাদা দুটি লিফট, আধুনিক জেনারেটর ও দোতলায় বিদ্যুতের সাব-স্টেশন রয়েছে। এছাড়া ভবনে ২০টি অফিসকক্ষ এবং সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দাপ্তরিক কক্ষ রয়েছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |