বিএসএমএমইউতে শোক দিবসে উপলক্ষে রোগীদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
নিউজ ডেস্ক:
|
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তিন হাজার ৭১৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এর আগে সকালে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। চিকিৎসা সেবার মধ্যে রয়েছে-ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং, মেডিসিন, সার্জারি, ডেন্টাল সার্জারি সেবা, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের উদ্যোগে ‘সি’ ভাইরাসের ওষুধ বিতরণ, প্লাস্টিক সার্জারির উদ্যোগে শহীদ শেখ জামাল ফ্রি প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্পের আওতায় জন্মগত মুখমন্ডলের বিকৃতি, ঠোট কাটা ও তালু কাটা রোগীদের অস্ত্রপচার, কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে অস্বচ্ছল রোগীদের এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি, বিনামূল্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার সার্জারি এবং বিনামূল্যে ল্যাপকল সার্জারিসহ আরো অনেক রোগের চিকিৎসা। এ ছাড়াও শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা, শোকের প্রতীক কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও তবারক বিতরণ, বাদ ফজর থেকে বাদ জোহর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল ইত্যাদি পালন করা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএসএমএমইউ ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানপন্থী ষড়যন্ত্রকারীরা আবার রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে। এরাই সেই চক্র যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমেনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তারা দেশে বিদেশে পুরষ্কৃত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের দিন ১৫ আগস্টে তারা কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করতো। আজ সময় এসেছে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সকল পক্ষকে সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখে দাঁড়ানোর। জাতীয় শোক দিবসে আমাদের শপথ হোক আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখবো এবং নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করবো।’ এ সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসম মোস্তফা জামান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, বিভিন্ন অফিস প্রধানগণ, চিকৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় শোক দিবসের দিন আজ ১৫ আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল (ইনডোর), ফিভার ক্লিনিক, পিসিআর ল্যাব ও জরুরি বিভাগ খোলা ছিল। এ ছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টারে স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রমও যথারীতি চলছে। দিবসটি উপলক্ষে আগামী শনিবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব আব্দুর রাজ্জাক। এতে সভাপতিত্ব করবেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
নিউজ ডেস্ক।দৈনিক আজবাংলা
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |