বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপি-জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৫১ রাত | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' সংঘটিত করার অপরাধে বিএনপি-জামায়াতকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' ঘোষণার দাবি জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এই দাবিতে সোমবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন, ফিরোজ মাহমুদ সুজনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ঢাকাস্থ আমেরিকার দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে মোড়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পরে সংগঠনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আমেরিকার দূতাবাস অভিমুখে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন, সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন ও মাকসুদ হাওলাদার। আমেরিকার দূতাবাসের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিসি আশরাফুল ইসলাম। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, "বিএনপি-জামাত রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বিদেশের মাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার মাধ্যমে বিএনপি-জামাতের পুরনো রূপ প্রকাশ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিকট দাবি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করুন। অন্যথায় এই অপশক্তি বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করবে।" সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। প্রতিবছর জাতিসংঘ সম্মেলন নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও অহংকারের। সেই জাতিসংঘ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা পলাতক খুনী আসামী তারেকের নির্দেশে নিউইয়র্কে নাশকতা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে কালো তালিকাভুক্ত করা। রাজনীতির মাঠে জনগণের নিকট পরাজিত হয়ে বিএনপি-জামাত বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। এদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।" সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, "বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক নাশকতা সংঘটিত করেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও চরম অবমাননা। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমরা বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। অতীতে বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি অবগত আছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, পাঁচই জানুয়ারী নির্বাচনের সময় পেট্রোল বোমা দিয়ে শতশত মানুষ হত্যা, সিলেটে হাইকমিশনার আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, সিরাজগঞ্জে পূর্ণিমা রাণী শীলকে গণধর্ষণের মতো অমানবিক সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সাথে বিএনপি-জামাত সরাসরি জড়িত ছিল। দেশ ও জাতির প্রকৃত শত্রু বিএনপি-জামাত সবসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কায়েম করে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরা বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের জনগণের কাছে  এখন ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।" আল মামুন আরোও বলেন, "গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি-জামাত প্রমাণ করেছে যে, এরা বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়। লণ্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত খুনী তারেক জিয়া বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পলাতক আসামী রাজাকার পুত্র ইলিয়াস, কনক সারওয়ার গংরা আমেরিকায় বসে বাংলাদেশ বিরোধী বিরোধী ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। গতকাল জাতিসংঘের সামনে বিএনপি-জামাতের এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য অনেক বড় অশনিসংকেত এবং অত্যন্ত অপমানজনক বলে আমরা মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিকট আমাদের দাবি, এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। এসব সন্ত্রাসীদের ভিসা বাতিল করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে এধরনের ঘটনার আর কখনো পুনরাবৃত্তি না হয়। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে বিতর্কিত করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামাত এধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড সংঘটিত করেছে যা বিশ্বের দরবারে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগণের দাবি, অবিলম্বে বিএনপি-জামাতকে নিষিদ্ধ করুন। বিএনপি-জামাতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপি-জামাতের জঙ্গি সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করুন।" রাজনীতি/জেকে
« পূর্ববর্তী সংবাদ পরবর্তী সংবাদ »






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ